-->
শিরোনাম

আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি
আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ির ওপর ভেঙে পড়েছে গাছের ডাল

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামের অন্তত দেড় শতাধিক কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলার ৩নং তেতুলিয়া ও ২নং বড়তলী বানিহারী ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আকস্মিক এ ঘূর্ণিঝড়ে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বসতঘর ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তাদের অনেকেই বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহনগঞ্জের তেতুলিয়া ইউনিয়নের (ইউপি) পশুখালী, আনন্দনগর, হরিপুর ও আজমপুর এবং বড়তলী বানিহারী ইউপির ফিরোজপুর ও বারোঘর নওগাঁ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোর ওপর দিয়ে আকস্মিক এক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে ওই গ্রামগুলোর অন্তত দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেতুলিয়া ইউপির পশুখালী ও বড়তলী বানিহারী ইউপির ফিরোজপুর গ্রামে।

পশুখালী গ্রামের বাসিন্দা মুসলিম শাহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে যখন ঘুমাতে যাবো ঠিক এমন সময় ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। ১০-১২ মিনিট তাণ্ডব চালায় ঝড়টি। এতে আমার ঘরটি সম্পূর্ণ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। দ্রুত নতুন ঘর তৈরির মতো ক্ষমতা আমার নাই। তাই পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না।’

তেতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জহর বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার ইউনিয়নে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং তালিকা করছি।’মোহনগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।’

 

মন্তব্য

Beta version