-->

নারায়ণগঞ্জে বামজোটের হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, ককটেল বিস্ফোরণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে বামজোটের হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, ককটেল বিস্ফোরণ
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতালে বাধা দিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে কয়েকজন আহত হন।

সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে নগরীর চাষাঢ়া ও ২নং রেল গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।

শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের প্রতিবাদ জানিয়ে জোটের নেতারা বলেন, ভোজ্যতেল, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সকাল পৌনে ৬টায় জোটের নেতা-কর্মীরা নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জোটের নেতা-কর্মীরা সড়কে চলাচল করা যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করলে জোটের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

জোটের নেতা ‘গণসংহতি আন্দোলন’র জেলার নির্বাহী সমন্বয়ক অর্জন দাস বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ হরতালে আমরা মিছিল নিয়ে চাষাড়ায় ছিলাম। সেখানে পুলিশ এসে আমাদের উপর হামলা করেছে। তারা আমাদের পিটিয়েছে। শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশ বাধা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদ জানাই।’

সদর মডেল থানার ওসি মো. শাহ্ জামান বলেন, ‘হরতালকারীরা যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে জনসাধারণের সমস্যা সৃষ্টি করে। তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ২ নম্বর রেলগেটে সমাবেশ করেন বামজোটের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবু হাসান টিপু, বাসদ নেতা আবু নাঈম বিপ্লব প্রমুখ।

মন্তব্য

Beta version