-->
শিরোনাম

হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ৩ জনের আমৃত্যু ও দুজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ৩ জনের আমৃত্যু ও দুজনের যাবজ্জীবন
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অপহরণের পর কলেজ ছাত্র ইমরান শেখকে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি, তিনজনের আমৃত্যু ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহিদুর রহমান কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান (২৫), একই উপজেলার আফাজউদ্দিনের ছেলে ওয়াদুদ রাজু (২২) ও কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার ফয়জুল বিশ^াসের ছেলে মেহেদী হাসান জজ (২৬)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- খোকসা উপজেলার চক হরিপুর গ্রামের মুন্সি নাসির উদ্দিনের ছেলে অনিক হাসান (২২) ও কুমারখালীর আফাজউদ্দিনের ছেলে ওয়াদুদ রাজু (২২)।

রায় প্রদান শেষে পুলিশি পাহারায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ মার্চে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কুমারখালী উপজেলা মনোহরপুর গ্রামে যায় কলেজছাত্র ইমরান শেখ। এরপর আর বাড়িতে ফেরেন না তিনি। পরে নিখোঁজ ইমরানকে খুঁজতে থাকে তার স্বজনরা।

নিখোঁজের পরদিন সকালে ইমরানের স্বজনরা জানতে পারে, সদরপুর ভুট্টাক্ষেতের মধ্যে একটি মাথাবিহীন লাশ পড়ে আছে। পরে ইমরানের পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করে। এর পরদিন নিহতের বাবা বাদশা শেখ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেয়।

কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘এটি একটি নৃশংস ঘটনা। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর ইমরানকে গলা কেটে হত্যা করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত একজনের ফাঁসি, তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।’

মন্তব্য

Beta version