-->
শিরোনাম

লঞ্চ স্টাফকে মারধরের অভিযোগ, দেড় ঘণ্টা লঞ্চ চলাচল বন্ধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
লঞ্চ স্টাফকে মারধরের অভিযোগ, দেড় ঘণ্টা লঞ্চ চলাচল বন্ধ
আহত লঞ্চ শ্রমিক

টাকা না দেয়ায় লঞ্চ স্টাফকে বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার টার্মিনাল ইন্সপেক্টরের (টিআই) বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে দেড় ঘণ্টা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। পরে লঞ্চ মালিক সমিতির হস্তক্ষেপে নৌরুটটিতে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বাংলাবাজার ঘাটে মঙ্গলবার সকালে মারধরের ঘটনা ঘটে।

ঘাটের লঞ্চ শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বাংলাবাজার ঘাটে এমভি আকাশ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হয়। এ সময় লঞ্চটির স্টাফ সেলিম শেখের কাছে টার্মিনাল ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন পাঁচশত টাকা দাবি করেন। লঞ্চ স্টাফ সেলিম শেখ একশ টাকা দিতে রাজী হন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আক্তার হোসেন সেলিম শেখকে মারধর করে রক্তাক্ত করে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘাটগুলোতে অবস্থানরত লঞ্চ শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির উদ্যোগে বিচারের আশ্বাসে দেড় ঘণ্টা পর সাড়ে ১০ টার দিকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

আহত সেলিম শেখ বলেন, ‘প্রত্যেকটি লঞ্চের ট্রিপ প্রতি টিআই সাহেব ১’শ টাকা করে নেয়। কিছুদিন ধরে তিনি লঞ্চগুলো থেকে আরো বেশি টাকা নিচ্ছে। আজ তিনি আমাদের লঞ্চে বেশি যাত্রী দেয়া হয়েছে বলে ৫’শ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় সে আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। আমি এর বিচার চাই।’

নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে টিআই আক্তার হোসেন বলেন, ‘টাকা চাওয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। তারা উল্টো আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন কাল বৈশাখী ঝড়ের মৌসুম। ওই লঞ্চটিতে নাবিক সংকট থাকার কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লঞ্চটি বন্ধ রাখতে বলি। তাই স্টাফরা আমাকে ধাক্কা দেয়। আমিও ধাক্কা দিলে ওই স্টাফের কানের কাছে কেটে যায়। তাই স্টাফরা জোট বেঁধে লঞ্চ বন্ধ রেখেছিল।'

বাংলাবাজার লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘স্টাফরা লঞ্চ বন্ধ করে দিলে আমরা বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। পরে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।’

মন্তব্য

Beta version