-->
শিরোনাম

৫০ টাকার টিকিটে মিলবে বাগানের আম-লিচু

তারেক মাহমুদ, রাজশাহী ব্যুরো
৫০ টাকার টিকিটে মিলবে বাগানের আম-লিচু
গোদাগাড়ীর পলাশবাড়ী গ্রামে‘ড্রিমার্স গার্ডেন’এ ধরে আছে আম

গাছ থেকে তরতাজা আম-লিচু পেড়ে খেতে কে না ভালোবাসে! মধু মাসে শুধু গাছ থেকে আম পেড়ে খেতে অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে শখ করেই রাজশাহীতে আসে। তাদের কথা চিন্তা করে এবার ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা হাসান আল শাদী পলাশ।

ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ৫০ টাকায় টিকিট কেটে তার বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন। সঙ্গে বাগান থেকে আম-লিচু খাওয়ারও সুযোগ থাকছে। তবে ওজন অনুযায়ী এগুলো কিনে খেতে হবে।

মুকুল শেষে এসেছে গুটি। আর এক মাস পরেই রাজশাহীর আম বাগানগুলোতে গুটি জাতের আম পাকবে। পরবর্তীতে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, রাণীপচ্ছন্দ ফজলিসহ সব জাতের আম পাওয়া যাবে।

বর্তমানে রাজশাহীতে কৃষিভিত্তিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন তরুণ উদ্যোক্তা হাসান আল শাদী পলাশ। দীর্ঘ সাত বছর রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামে ১৩ বিঘা আয়তনের আমবাগানে গড়ে তুলেছেন ‘ড্রিমার্স গার্ডেন’ নামে বাগান।

আম গাছের ফাঁকা জায়গায় তিনি গড়ে তুলেছেন ফুলের বাগান। ৫০ টাকায় টিকিটে এই বাগান থেকে মানুষ ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে আম-লিচু কিনে খাওয়ার সুযোগ পাবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে হাসান আল শাদীর এই বাগান। নিয়মিত দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় করছে। এখানে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ আম ও ২০টির মতো লিচুগাছ। বাগানের চারদিকে বিভন্ন ফুলের ছড়াছড়ি। ১৬ জাতের ফুলগাছ দিয়ে সাজানো রয়েছে বাগান।

আমের মৌসুম ছাড়াও শাদী বাগানের ফাঁকা জায়গায় ফুলের চাষ করছেন। শীত মৌসুমে চাষ করেছিলেন টিউলিপ ফুল যা দেখতে হাজারো দর্শনার্থী ভিড় জমায় এই ড্রিমার্স গার্ডেনে। আর দর্শনার্থী বেশি হওয়ায় করেছেন টিকিটের সিস্টেম।

হাসান আল শাদী বলেন,‘সবাই পরিবার নিয়ে একটু নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরতে চায়। এখানে পরিবারসহ লোকজন আসছে, সময় কাটাচ্ছে। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে মানুষের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।’

নিজ পরিকল্পনা জানতে চাইলে হাসান আল শাদী বলেন, ‘ক্রেতারা বাগানে আসবেন, গাছে পাকা আম দেখবেন, নিজ হাতে পাড়বেন, খাবেন। তবে সব ফল ওজন ভেদে কিনে নিতে হবে। শুধু আম আর লিচু নয়, এখনে টাটকা টমেটো ও বিভিন্ন পণ্য থাকবে।’

বাগান দেখতে এসেছেন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আসফিকা ইয়াসমিন। তিনি জানান, এই আম বাগানে অনেক ফুল রয়েছে। ৫০ টাকার টিকিট কেটে বাগান থেকে আম-লিচু কিনে খাওয়া নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ।

বাগানে ঘুরতে আসা বিপাশা খাতুন ও তামান্না জানান, আম গাছের বাগানে বিভিন্ন রঙের ফুল আছে। বেশ আকর্ষণীয় হওয়ায় প্রতিটি গাছ ও ফুল দামি। সত্যি অসাধারণ পরিবেশ।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা বলেন, বাগানটি পরিদর্শন করেছি, বেশ ভালো লেগেছে। হাসান আল শাদী আম বাগানে টিউলিপ চাষ করেছেন। তিনি কৃষিভিত্তিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে চান।’

উম্মে ছালমা আরো বলেন, ‘টিউলিপ শীতপ্রধান দেশের ফুল হলেও ঢাকার সাভার, যশোরের গদখালিসহ বিভিন্ন জায়গায় চাষ হচ্ছে। সরকার থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা আসলে নিশ্চই চাষিরা পাবে।’

 

মন্তব্য

Beta version