টিপ পরায় এক শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনার মধ্যেই আপত্তিকর মন্তব্য করে আলোচনায় আসা সিলেটের পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীকে গতকাল সোমবার (৪ এপ্রিল) প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গতকাল সারাদিন আমি জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে ছিলাম। সেখান থেকে সিলেটে এসে বিষয়টি আমার নজরে পরে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
আরো পড়ুন: টিপ ইস্যুতে আরেক পুলিশের আপত্তিকর মন্তব্য, ক্ষোভ
সিলেট জেলা কোর্ট পুলিশে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী গতকাল সোমবারই তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে টিপ ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ করা পুরুষদের নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন। যদিও পরে তার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবিও তোলা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে ভোরের আকাশের অনলাইন সংস্করণে ‘টিপ ইস্যুতে আরেক পুলিশের আপত্তিকর মন্তব্য, ক্ষোভ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে দেশের একাধিক জাতীয় গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, লিয়াকত আলীর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির নেতৃত্বে দেবন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিটিএসবি ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মুত্তাজুল ইসলাম ও জেলার পুলিশ পরির্দশক (ইনচার্জ, এলআই বিজিবি) সিলেট মো. আছাবুর রহমান।
তদন্ত কমিটির প্রধান সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফুর রহমান বলেন, ‘কারো ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার পুলিশ বাহিনী নিবে না। তিনি ফেসবুকে যেসব মন্তব্য করেছেন তা অশালীন ও বিব্রতকর মনে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।’
মন্তব্য