-->

আগাম বন্যায় প্লাবিত সিলেটের তিন উপজেলা

সিলেট ব্যুরো
আগাম বন্যায় প্লাবিত সিলেটের তিন উপজেলা

চলতি সপ্তাহে সিলেটের সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় অংশে ও ভারতের মেঘালয় প্রদেশের চেরাপুঞ্জিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটে নিম্নাঞ্চলের তিন উপজেলা।

সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় তলিয়ে গেছে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির ফসল, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। পানি ঢুকেছে বসতঘরেও।

এই তিন উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। ধীরে ধীরে ঢল নামতে শুরু করে। এতেই তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পানির স্রোতে নদীরক্ষা বাঁধও ভাঙে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান জানান, ভারী বৃষ্টি ও ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ফসলি জমি, বেশ কিছু রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছেন তিনি। বন্যাকবলিত কয়েকটি এলাকা তিনি পরিদর্শন করেছেন। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন তিনি।

তবে গোয়াইনঘাটের স্থানীয় সাংবাদিক মিনহাজ মির্জা জানিয়েছেন, উপজেলার সীমান্তবর্তী রুস্তমপুর, পূর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, গোয়াইনঘাট সদর ও পূর্ব আলীরগাঁও এবং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০-৬০০ হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফসলের তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

এদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জমির ফসল ঢলের পানিতে তলিয়েছে। উপজেলার ইসলামপুর পূর্ব, তেলিখাল, ইছাকলস ও দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবেছে।

ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম বলেন, ‘চানপুর গ্রামে বাঁধ ভেঙে রংপুর, শিমুলতলা নোয়াগাঁও, মোস্তফানগর, ঢালারপাড়সহ আশপাশের এলাকার রাস্তাঘাট এখন পানির নিচে। ঘরবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার আধাপাকা ও কাঁচা ধান তলিয়ে গেছে।

তবে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাওরে পানি প্রবেশ করেনি। তবে কিছু নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। আগামীকাল থেকে পানি কমতে পারে।’

অপরদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জৈন্তাপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেশ কিছু নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি জায়গা প্লাবিত হয়েছে।’

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আগের চাইতে কম। তবে উজানে এখন বৃষ্টিপাত কম থাকলেও তা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে বাড়তে পারে পানি। ’

মন্তব্য

Beta version