জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) ‘বার্ষিক ফ্রন্টিয়ারস রিপোর্ট-২০২২’ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে শব্দদূষণে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাজশাহী। প্রতিবেদনটিতে শব্দের তীব্রতার মাত্রা দুই পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে- আবাসিক ও ট্রাফিক এলাকায়। রাজশাহীতে ট্রাফিক এলাকায় শব্দের তীব্রতার মাত্রা ১০৩ ডেসিবল এবং আবাসিক এলাকায় ৫৫ ডেসিবল রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী নগরীতে শব্দদূষণকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে গত কয়েকদিন থেকে শব্দ দূষণ রোধে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসনও। প্রথম অবস্থায় জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। তবে এর মাঝে কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে একদিন করে প্রশাসন মাঠে নেমে মানুষকে সচেতন করছে।
গত সোমবার নগরীর কয়েকটি জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন চৌধুরী। নীরব এলাকায় যানবাহনের হর্ন বাজানোর দায়ে এ সময় দুজনকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অভিযানের সময় চালকদের সচেতন করা হয়েছে।
রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাবিহা সুলতানা বলেন, ‘শব্দ দূষণ একটি অপরাধ তা অনেকে জানেন না। তাই আমরা জরিমানা কম করছি। প্রথম অবস্থায় মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। শব্দ দূষণ রোধে সপ্তাহে একদিন আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
এদিকে গত সোমবার রাজশাহীর পবার খড়খড়ি বাইপাসে স্পাল প্ল্যান মেশিনের শব্দ ও ধূলিকণায় বায়ুদূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খড়খড়ি বাজারের পাশে মেসার্স ডন এন্টারপ্রাইজের স্পাল প্ল্যান মেশিনের শব্দ ও ধূলিকণায় বায়ুদূষণ রোধে এ কর্মসূচি পালিত হয়।খড়খড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, খড়খড়ি ভূমি অফিস, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ, মসজিদসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
বক্তারা বলেন, একদিকে বিটুমিনের বিষাক্ত ধোঁয়া এবং অন্যদিকে পাথরের ধূলিকণা- ছাই এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেশিনের নির্গত ধূলিকণায় ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মেশিনের শব্দে রাতে ঘুম আসে না। এর থেকে রেহাই পেতে কর্তৃপক্ষকে দরখাস্ত দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। প্রশাসন হয় মেশিন বন্ধ করবে, না হয় স্কুল বন্ধ করবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেকে অজানা রোগে মারা যাবে।
মন্তব্য