-->
শিরোনাম

রংপুরে দ্বিতীয় দিনেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে দ্বিতীয় দিনেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, সড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ পাঁচ দাবিতে রংপুর থেকে দ্বিতীয় দিনেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। গাড়ি বন্ধ রাখার বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন ও পরিবহণ মালিক সমিতির রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। গতকাল এনা, শ্যামলী, সৌখিন, শাহ্ ফতেহ আলী ও নাবিল পরিবহণের বাস চললেও তারাও আজ গাড়ি বন্ধ রেখেছে।

মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মবিরতি শুরু কওে শ্রমিকরা। ওই দিন দুপুরে ঢাকায় বেতন-ভাতার বিষয়ে বৈঠকে বসলেও কোনোরকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়। যার কারণে দ্বিতীয় দিনেও চলছে এ কর্মবিরতি।

শ্রমিকরা জানান, অনেক পরিবহণ দাবি মেনে নিয়েছে; অনেকে মেনে নেয়নি। তাই গাড়ি বন্ধ রয়েছে। দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা।

বুধবার সকালে রংপুর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, আগে থেকে টিকিট কাটা অনেকেই যেতে না পেরে টিকিটের টাকা ফেরত নিচ্ছেন। বিকল্প উপায়ে ঢাকা যাচ্ছেন অনেকে।

সকালে কথা হয় ঢাকাগামী যাত্রী সাজু, সবুজ ও রহিমের সঙ্গে। তারা জানান, যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায় কতটা যৌক্তিক? এ বিষয়ে তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এসআর পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার মিঠু ভোরের আকাশকে বলেন, ‘গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলেও কাউন্টার খোলা আছে। অনেকেই টিকিটের টাকা ফেরত নিচ্ছেন। কেউ কেউ আগাম টিকিট নিচ্ছেন। তবে দু-একদিনের মধ্যেই বাস খুলবে।’

রংপুর মোটর মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি একে চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে বসা হয়েছিল ঢাকায় কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ সিদ্ধান্ত হতে পারে। সিদ্ধান্ত হলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হবে।’

রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ বলেন, ‘পরিবহণ মালিকরা কৌশলে পরিবহণ করে বন্ধ করেছে। আমরা চাই না রমজান মাসে পরিবহণের জন্য মানুষের কষ্ট হোক। এটি মোটর শ্রমিকদের কর্মবিরতি নয়। এ নিয়ে ঢাকায় পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠকে আজ সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

মন্তব্য

Beta version