-->

নদীর কোনো ‘তথ্য’ নেই গাইবান্ধা পাউবোর কাছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, গাইবান্ধা
নদীর কোনো ‘তথ্য’ নেই গাইবান্ধা পাউবোর কাছে
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস

গাইবান্ধায় নদ-নদীর সংখ্যা কত? এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর নাম কি? কিংবা নদীগুলোর দৈর্ঘ্য কত? এসবের কোনো তথ্যই নেই গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে। সময় নিয়েও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই দিতে পারেননি গাইবান্ধার এই দপ্তরের কর্মকর্তারা।

বিষয়টি দুঃখজনক হলেও সত্য ওই দপ্তরের সরকারি ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়নি এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য। এর পেছনে দায়িত্বে অবহেলার বড় কারণ বলে মনে করেন গাইবান্ধার সচেতন মহল।

সম্প্রতি গাইবান্ধার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলোর নাম, কোন নদী কোন কোন উপজেলা স্পর্শ করেছে, নদ-নদীগুলোর দৈর্ঘ্য কত? মরা নদীর নামসহ আরো নানা তথ্য জানতে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে যায় দৈনিক ভোরের আকাশ। পরে দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানের কাছে তথ্য জানতে চাইলে তিনি পাশের রুম থেকে একটি বই বের করেন এবং খুঁজতে থাকেন গাইবান্ধার নদী সম্পর্কিত তথ্যগুলো। তথ্যগুলো বইয়ে না পেয়ে ওই দপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ.দ.) এটিএম রেজাউল রহমানকে ডেকে নেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এক পর্যায়ে পরে তথ্য দিবেন বলে সময় নেন তিনি। কিন্তু এক সপ্তাহেও কোনো তথ্য জানাতে পারেননি গাইবান্ধা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এটিএম রেজাউল রহমান।

এদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশে সকল সরকারি দপ্তর সম্পর্কে খুব সহজে তথ্য জানাতে ওয়েবসাইট ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। যেখানে থাকবে ওই দপ্তরগুলো সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। কিন্তু গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি ওয়েবসাইটেও খুঁজে পাওয়া যায়নি নদ-নদী সংক্রান্ত কোনো তথ্য।

গাইবান্ধার সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) আহ্বায়ক জহুরুল কাইয়ুম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে গাইবান্ধার নদ-নদীর তথ্য থাকবে না এটি দুঃখজনক। এ সম্পর্কিত সকল তথ্য সংরক্ষণ করা তাদের দায়িত্ব। তারা জেলার নদ-নদীর সকল তথ্য সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করবেন। প্রয়োজনে কেউ চাইলে সরবরাহ করবেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে নদ-নদীর তথ্য না থাকাটা তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণ বলে মনে করেন তিনি।

সময় নিয়েও তথ্যগুলো না দিতে পারার কারণ জানতে চাইলে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এটিএম রেজাউল রহমান (অ.দ.) দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, ‘অফিসে কয়েকদিন যাবৎ ওই তথ্যগুলোই খুঁজছি। কিন্তু ওই তথ্যগুলো কোথায় আছে আল্লাহই ভালো জানেন।’

এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে দপ্তরে জনবল সংকটের কথা জানান গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান।

মন্তব্য

Beta version