-->
শিরোনাম
ব্রী-৯২ এর প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শনকালে খাদ্যমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেনে এখন যুদ্ধ, নিজেদেরকেই খাদ্য উৎপাদন করতে হবে

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
রাশিয়া-ইউক্রেনে এখন যুদ্ধ,   নিজেদেরকেই খাদ্য উৎপাদন করতে হবে

খাদ্য উৎপাদন না করলে এবং পরের ওপর নির্ভরশীল থাকলে সেখানে দুর্ভিক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সবচেয়ে বেশি খাদ্য রপ্তানি করে। সেখানে এখন যুদ্ধ, তাই সেখান থেকে খাদ্য পাওয়া যাবে না। এজন্য নিজেদের খাদ্য নিজেদেরকেই উৎপাদন করতে হবে। দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের নানা ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার কাশিমনগর এলাকায় নতুন জাতের ধান ব্রী-৯২ এর প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ নতুন শিশু এদেশে জন্মগ্রহণ করছে। এদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে আমাদের নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন করতে হবে। দেশে কৃষি জমি কমে যাওয়ায় নতুন জাতের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বোরো আমাদের মূল ফসল। আমাদের মূল খাদ্য চাল। এই চালের বেশি উৎপাদন হয় বোরো থেকে। প্রায় দুই কোটি টনের মত বোরো আমরা উৎপাদন করি।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো নতুন জাত উদ্ভাবন করেছি। যেগুলোর উৎপাদনশীলতা আগের অন্য জাতের চেয়ে অনেক বেশি। আমরা চাচ্ছি এসব জাত যত দ্রুত মাঠে নেওয়া যাবে ততোই আমরা লাভবান হব। এই ব্রিধান ৯২ প্রতি শতকে ১ মণ করে ধান হয়। আগে যেখানে বিঘাতে ৫/৭ মণ ধান হতো এখন এই নতুন জাতে প্রায় ৩৩ মণের মতো ধান পাবে কৃষকরা।’

এ সময় কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম, মহাপরিচালক বেনজির আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপণ দেবনাথ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version