-->
শিরোনাম

পুকুরেই হবে ৩০০ কেজির পাঙ্গাশ!

কামরুজ্জামান মিন্টু, ময়মনসিংহ ব্যুরো
পুকুরেই হবে ৩০০ কেজির পাঙ্গাশ!

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) একদল বিজ্ঞানী একটি পাঙ্গাশের জাত নিয়ে গবেষণা করছেন। ইতোমধ্যে গবেষণায় সাফল্য মিলেছে। গবেষণায় পুকুরে ১৫০ কেজিরও বেশি ওজনের পাঙ্গাশ পাওয়া গেছে। এগুলো সর্বোচ্চ ৩শ কেজি পর্যন্ত বড় হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

গবেষকরা জানান, পুকুরে এ রকম আরও অন্তত ৫০টি পাঙ্গাশ রয়েছে। সবগুলোর ওজনই ১৫০ কেজির বেশি। এগুলো সর্বোচ্চ ৩শ কেজি পর্যন্ত বড় হবে। পাশাপাশি পোনা উৎপাদন করতে দ্রুতগতিতে গবেষণা চলছে। ব্যাপক পরিসরে পোনা উৎপাদন করে চাষিদের ছড়িয়ে দিতে পারলে এই মাছ চাষে তারা লাভবান হবে। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় আকৃতির মাছটি বাজারে সহজলভ্য হবে। এতে কম দামে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

মাছটির গবেষক সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া সহযোগী গবেষক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিজভী কাইসার ও উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ড. খলিলুর রহমান।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, মাছটির নাম জায়ান্ট পাঙ্গাশ। এটি মেকং নদীর মাছ। ২০১২ সাল থেকে মাছটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এরপর থেকে পুরোদমে গবেষণা চলে। গবেষণার ধারাবাহিকতায় দেখা যায়, মাছটির দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। এটি সর্বোচ্চ ৩শ কেজি পর্যন্ত হবে।

গবেষক দলের প্রধান সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, ‘বাংলাদেশে মাছটি চাষাবাদের আওতায় আনাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দেশে এটিকে এত বড় আকৃতির করা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। তবে গবেষণায় দেখা যায়, মাছটিকে সর্বোচ্চ ৩শ কেজি পর্যন্ত বড় করা সম্ভব। গবেষণা পুকুরে এটির রেণুপোনা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।’

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, ‘সম্প্রতি গবেষণা পুকুরে জাল ফেলতেই ধরা পড়েছে বিশালাকৃতির এক জায়ান্ট পাঙ্গাশ। যার ওজন ১৫০ কেজিও বেশি। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় পাঙ্গাশ। এর আগে কোথাও এত বড় পাঙ্গাশ পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রজননের মাধ্যমে মাছটিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণাকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপর প্রচুর রেণুপোনা উৎপাদন করে চাষিদের দেওয়া হবে। এতে ধীরে ধীরে সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে মাছটি।’

মন্তব্য

Beta version