-->
শিরোনাম

খরায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি

তারেক মাহমুদ, রাজশাহী
খরায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি
ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি

গত মাস থেকেই রাজশাহীতে তাপমাত্রার সঙ্গে বেড়েছে অসহনীয় গরম। গত বুধবার জেলাটিতে সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই তাপমাত্রা আরো বাড়ার কথা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে হচ্ছে না বৃষ্টিপাতও।

তীব্র তাপদাহ ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রাজশাহীতে ঝরে যাচ্ছে মুকুলের ফুল ফেটে বের হওয়া আমের গুটিগুলো। তবে গুটি ঝরে যাওয়াকে স্বাভাবিক মনে করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলার ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার হেক্টর বেশি। আমের ফলন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার টন। আমের এই ফলন হলে তার অর্থনৈতিক বাজার প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।

রাজশাহী নগরীর ও বিভিন্ন উপজেলার আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড তাপমাত্রায় গাছের নিচে মাটিতে গুটি ঝরে পড়েছে। পানি দিয়েও গুটি ঝরা থামাতে পারছেন না তারা। এমনভাবে গুটি পড়ে গেলে ব্যাপক লোকসানে পড়ার আশঙ্কা বাগান মালিকদের।

নগরীর মেহেরডণ্ডি এলাকার আম ব্যবসায়ী করিম বলেন, ‘আমার গাছে প্রচুর মুকুলের পরে গুটি এসেছিল। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় গুটিগুলো ঝরে যাচ্ছে। মাঝে মাছে গাছের নিচে পানি দিচ্ছি। গুটি ঝরায় আমরা আমের ফলন নিয়ে চিন্তায় আছি।’

পুঠিয়ার আমচাষি জাকির হোসেন বলেন, ‘এবার বেশির ভাগ গাছেই অনেক মুকুল এসেছে। গুটিও ভালো দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন থেকে প্রচুর গুটি গরমে ঝরে পড়ছে। আমাদের গাছগুলোতে সেচ দিচ্ছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন বলেন, ‘আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের চিন্তার কারণ নেই। বেশি গুটি ঝরলে গাছে পানি সেচ দিতে হবে। পানি সেচ দিলেই এই সমস্যার সমাধান হবে। আমরা কৃষকদের এই পরামর্শই দিচ্ছি।’

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘আম ও লিচুর গাছগুলোতে ধারণ ক্ষমতার বেশি গুটি এসেছে। এ সময়ে গুটি ঝরা স্বাভাবিক। সাধারণত চারটি কারণে আমের গুটি ঝরে। এর মধ্যে পুষ্টির অভাব, পোকার আক্রমণ, রোগের আক্রমণ। এখন ১০ থেকে ১২ দিন পর পর গাছে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে গাছে ফলন ভালো হবে।’

মন্তব্য

Beta version