শনিবার ভোর ৫টা। রোয়াচালা আশামতি ইটভাটার উদ্দেশ্যে বাখরনগর থেকে রাসেল ও মেহেদী হাসান মোচাগাড়া যান। এ সময় সহকারি রাসেলের হাতে ট্রাক্টর দেয় চালক টুটুল। রাসেলের পাশেই বসে খোশ গল্প করছিলেন তিনি।তারা মোচাগাড়া উত্তর পাড়ার ব্রিজের গোড়ায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উল্টে গিয়ে ডোবায় পরে যায়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করার আগেই তিন জনের মৃত্যু হয়। তবে উল্টে যাওয়ার সময় হৃদয় নামে আরেক যুবক লাফ দিয়ে নেমে প্রাণে বেঁচে যায়। প্রাণে বেঁচে ফিরে কথাগুলো জানান হৃদয়।
ঘটনাটি কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার মোচাগড়া এলাকার।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বল্লববাড়ীয়া এলাকার মো. বাবুল (২২), মো. হাসান (২৩) ও টুটুল (২২)। এর মধ্যে টুটুল মিয়া ট্রাক্টরের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
একই এলাকার তিন যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে ওই এলাকার আকাশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহগুলো নিহতদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টর খাদে, তিন যুবক নিহত
মৃতদেহগুলো এলাকায় নেওয়া হলে রাসেল ও মেহেদী হাসানের লাশ পাশাপাশি রাখা হয়। নিহত দুজনই বিবাহিত। রাসেলের রয়েছে ৫ মাস বয়সী ছেলে মান্নান। আর মেহেদীর ৭ মাসের সিয়াম সিয়াম নামে এক ছেলে।
সংসার শুরুর আগেই অল্প বয়সে স্বামী হারিয়ে শোকে বিহবল দুই বউ। সাদা কাপড়ে নিজেদের জড়িয়ে সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে কান্না করছে অবিরত। কোন সান্তনাই যেন প্রবোদ দিতে পারছে না স্বামী হারা দুই গৃহবধুকে।
মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাসিম বলেন, ‘ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আমরা তদন্ত করে দেখেছি এবং বেঁচে যাওয়া যুবক হৃদয় থেকে শুনেছি সহকারী রাসেল ট্রাক্টরটি চালাচ্ছিল।’
মন্তব্য