-->
শিরোনাম

স্রোতে ‘পাপ’ ভাসিয়ে দিলেন পুণ্যার্থীরা

সুজন মোহন্ত, কুড়িগ্রাম
স্রোতে ‘পাপ’ ভাসিয়ে দিলেন পুণ্যার্থীরা
 ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান চলছে

কুড়িগ্রামের প্রাচীনতম নৌবন্দর চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৯টা ১২ মিনিট থেকে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট পর্যন্ত অষ্টমীর স্নানের শুভ তিথি ছিল। তবে শনিবার সকাল থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্নান করার উত্তম তিথি থাকায় অধিকাংশ পুণ্যার্থী এই সময়ে স্নান সেরে নেন। এরপর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন আগত পুণ্যার্থীরা।

মূলত উত্তরবঙ্গে অষ্টমীর স্নানের জন্য চিলমারীর এই স্থান বিখ্যাত। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুণ্যার্থীরা এখানে আসেন নিজেদের পাপকে বিসর্জন দিতে। প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রের ৬ কিলোমিটার পাড়জুড়ে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। স্নানকে ঘিরে বসে মেলাও।

শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অষ্টমীর স্নানকে ঘিরে রমনা নৌঘাট থেকে রাজারভিটা, পুঁটিমারী হয়ে সরদারপাড়া ঘাট পর্যন্ত স্নান সম্পন্ন করার জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। কয়েক লাখ পুণ্যার্থী স্নান করার উদ্দেশ্যে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে আসেন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তারা নিজেদের স্নান সম্পন্ন করেন। অনেকে নিজেদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে মাথা ন্যাড়া করে পিণ্ড দান করেন।

স্থানীয় প্রশাসনের মতে, এবার ব্রহ্মপুত্র তীরে প্রায় তিন থেকে চার লাখ পুণ্যার্থী সমবেত হয়েছেন। স্নান ও মেলা এলাকাজুড়ে স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। মেলা ও স্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বসানো হয় কন্ট্রোল রুম। দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা যাতে নিরাপদে রাত্রিযাপন করতে পারেন সেজন্য উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

অষ্টমীর স্নানে অংশ নেওয়া রংপুর থেকে আসা ঝুমা পাল বলেন, ‘এখানে স্নান করার মাধ্যমে আমরা জীবনের পাপকে ধুয়ে পবিত্রতা অর্জন করি। স্রষ্টা এর মাধ্যমে আমাদের অতীতের পাপ থেকে মুক্ত করবেন, এজন্যই এসেছি।’

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরজুড়ে কয়েক লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। মেলা ও স্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

মন্তব্য

Beta version