-->
শিরোনাম

পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি
ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা এলাকা

মৌসুমি ফল তরমুজ মোকাম থেকে পিস হিসেবে কেনা হলেও দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। এতে ক্রেতারা তরমুজ কিনতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।

ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা মোড়, রেল ঘুমটি, কালীবাড়ী এলাকা, টিটি মোড়সহ উপজেলার কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের মতো এ বছরও কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। শুধু বিভিন্ন বাজারেই নয়, পাড়া-মহল্লায় রিকশাভ্যানে ফেরি করেও কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে মৌসুমি রসালো ফল তরমুজ।

নিমতলা মোড় এলাকার একটি দোকানে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা স্কুল শিক্ষক আনোয়ার সাদাত মণ্ডল বলেন, দিনাজপুর-রংপুর অঞ্চলসহ দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপকহারে তরমুজ উৎপাদন হলেও দাম আকাশচুম্বী। মোকাম থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনলেও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন কেজি দরে।

ফুলবাড়ী আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক চাষি বলেন, চলতি মৌসুমে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি তরমুজ উৎপাদিত হলেও খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে বাজারে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এরপর অস্থির করে তোলা হচ্ছে মৌসুমি এই ফলের বাজার। ফলে নিম্নআয়ের ক্রেতারা তরমুজ কিনতে পারছেন না। ছয় থেকে সাত কেজি ওজনের একটি তরমুজ পাইকারি দামে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ খুচরা বিক্রেতারা সেটি যখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তখন তরমুজটির দাম হয় ৫০০ টাকার কাছাকাছি।

ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা এলাকায় তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা মহিদুল ইসলাম মাজু বলেন, ‘কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা ক্রেতা ঠকানোর একটি কৌশল। ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে সহজে বেশি টাকা আয় করতেই বিক্রেতারা এমন ফাঁদ পেতেছেন।’ক্রেতাদের এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও নিমতলা মোড় এলাকার তরমুজ বিক্রেতা দীলিপ সাহা বলেন, ‘জয়পুরহাট মোকামে মণ দরেও কিনতে হচ্ছে, আবার পিস হিসেবেও কিনতে হচ্ছে। তবে এখানে আকার ভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে।’

একই এলাকার তরমুজ বিক্রেতা সাদেক আল সারওয়ার্দী হোসেন ও সাইদুল ইসলাম বলেন, পিস দরে তরমুজ বিক্রি করলে তেমন লাভ হয় না বলেই কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে তরমুজ বিক্রি করলে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা কম বলে বেশি লাভ করা যায়। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলার সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, সরকারিভাবে তরমুজের মূল্য নির্ধারণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে। মোকামে কেনার রসিদ দেখে মূল্য নির্ধারণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

মন্তব্য

Beta version