-->
শিরোনাম

শিক্ষার্থীদের ওপর ভেঙে পড়ল স্কুল ঘর, আহত ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শিক্ষার্থীদের ওপর ভেঙে পড়ল স্কুল ঘর, আহত ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিত্যক্ত স্কুল ঘর ধসে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আহত চারজনকেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীরা হলেন- সামিয়া (৭), হাবিবা (৭), মারিয়া (৮) ও নাজমুল (১২)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারিভাবে পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি টিনশেড ঘরে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। কিছুদিন আগে স্কুলটির কার্যক্রম পাশের আধাপাকা ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর থেকে টিন শেডের ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকে।

মঙ্গলবার দুপুরে ছুটির পর শিক্ষার্থীরা পুরোনো স্কুল ঘরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ করে ঘরটি ভেঙে পড়ে। এতে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে।

আহত শিক্ষার্থী মারিয়ার আক্তারের মা বন্যা বেগম বলেন, ‘ঘরটি সরানোর জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে কর্ণপাত করছিলেন না। এরই মধ্যে আজ এমন ঘটনা ঘটলো। আমরা এর প্রতিকার চাই।’

আহত শিক্ষার্থী হাবিবার পিতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার আশঙ্কা করেছিলাম ঘরটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। আমরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা শুনেনি। পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা রত্না আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর পরই ঘটনাটি ঘটে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে হাসপাতাল নেয়া হয়েছে। বাকিদের অভিভাবকেরা নিয়ে গেছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ঘরটি নিয়ে আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকতাম। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। অবশেষে আজকে এ ঘটনাটি ঘটলো।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার জুয়েল মিয়া বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমরা চার শিশুকে ঘরের নিচ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। এ সময় বেশ কয়েকজন শিশু আহত হয়।’

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি শেখ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি এবং জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি ঘর ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করা হয়েছে।’

মন্তব্য

Beta version