-->
শিরোনাম

বাবার কোলে থাকা শিশুকে গুলি করে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
বাবার কোলে থাকা শিশুকে গুলি করে হত্যা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পূর্ব-বিরোধের জেরে বাবার কোলে থাকা ৪ বছর বয়সের শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। একই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহেরও (৩৭) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

উপজেলার ১৪নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মলকার বাপের দোকান এলাকায় বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মাওলানা আবু জাহের ওই এলাকার রাসাদ মিয়ার বাড়ির মৃত জানু সরদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পূর্ব-বিরোধের জেরে একই উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা মো. রিমনের নেতৃত্বে ৫-৬ জন বুধবার বিকেল হাজীপুর গ্রামের মালেকার বাপের দোকান এলাকার মো. মামুনের মুদিদোকানে হানা দেয়। এ সময় মামুনের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।

এ সময় নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে এগিয়ে আসেন মামুনের মামা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহের। তিনি প্রতিবাদ করলে রিমন ও তার সহযোগীরা প্রথমে মামুনকে, পরে আবু জাহেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

গুলির ঘটনায় মামুন অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও তার মামা আবু জাহেরের শরীরে ও তার কোলে থাকা মেয়ে জান্নাতুলের মাথা এবং মুখমণ্ডলে গুলি লাগে। এরপর সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনার পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ আবু জাহের ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে রাত ৮টার শিশু জান্নাতুল মারা যায়।

অভিযুক্ত রিমন (২৫) একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের দানিজ বেপারী বাড়ির মমিন উল্যার ছেলে।

১৪নং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান মো.শাহ আজিম বলেন, রিমন এলাকার চিহিৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

নিহতের মামাতো ভাই ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,গত কয়েক দিন আগে আমাদের বাড়ির আল আমিন নামে এক ব্যক্তি জমিনের মাটি বিক্রি করে সন্ত্রাসী রিমনের কাকা বাদশার কাছে। বাদশা ওই জায়গা থেকে ৬ ফিট মাটি কাটে। এরপর আরো মাটি কাটতে গেলে আমাদের বাড়ির লোকজন তাকে বাধা দেয়। এ খবর পেয়ে সন্ত্রাসী রিমন ও তার সহযোগী রহিম, মহিন, সুজনসহ আরো কয়েকজন গত দুদিন একাধিকবার আমাদের বাড়িতে এসে গোলাগুলি করে। তারা আমার গর্ভবতী ভাগ্নির পেটে লাথি দেয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ওই নারীকে প্রথমে চিকিৎসা দিতে বলে।

বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

মন্তব্য

Beta version