রাজশাহীর পুঠিয়ায় অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের পর প্রতিবন্ধী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাচুপাড়া মাঠের পাশে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে পুঠিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে ওই ভুক্তভোগী।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার কোয়ালিপাড়া গ্রামে। সে জামগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী মেয়েটি সকালে কাচুপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে ইফতার শেষে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল সে। ওই ভ্যানে আরো দুজন ছিল।
রিকশাভ্যানটি কাচুপাড়া মাঠের কাছে পৌঁছালে ৫-৬ জন ধারলো অস্ত্রধারী ভ্যানটির গতিরোধ করে। এ সময় তারা সবার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে অস্ত্রের মুখে সবাইকে তাড়িয়ে দিয়ে মেয়েটিকে মাঠের একটি কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে অস্ত্রধারীরা।
পরে মেয়েটি স্থানীয় একটি বাজারে গিয়ে কান্নাকাটি করলে সেখান থেকে মাসুম হোসেন নামের এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মাসুম বলেন, মেয়েটিকে বেগার মোড়ে কাঁদতে দেখে স্থানীয়রা তার কাছে কান্নার কারণ জানতে চায়। এ সময় সে অটোরিকশা ভ্যান ছিনতাই ও ধর্ষণের কথা জানায়।
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মেয়েটি থানায় এসেছে। তার কাছে বিস্তারিত জানার পরে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই মামলা করেছে।
মন্তব্য