-->
শিরোনাম

রমজানে বেড়েছে ডাবের চাহিদা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
রমজানে বেড়েছে ডাবের চাহিদা
মৌলভীবাজার শহরের কোর্টরোডে ভ্যানগাড়িতে চলছে ডাব বিক্রি

রমজান ও গরমে স্বাস্থ্যসম্মত পানি পানের আশায় অনেকেই ডাবের পানিতে আগ্রহী। বাজারে বিভিন্ন রকমের মৌসুমি ফলের মজুত থাকলেও বেড়েছে ডাব, তরমুজ ও অন্যান্য ফলমূলের দাম। বর্তমানে ডাবের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এই সময়ে একটি ডাবের পানিতে চুমুক দিতে গেলেই গুণতে হচ্ছে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায় এমন চিত্র।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে, মোড়ে মোড়ে ভ্যানগাড়িতে বিক্রি করা ডাব ব্যবসায়ীরা জানান, একদিকে যেমন চাহিদা বেড়েছে অন্যদিকে যোগান কম। বেড়েছে দামও।

হারুক মিয়া ১৮ বছর ধরে বারোমাস শহরে ডাব বিক্রি করছেন। তিনি জানান, সদর উপজেলার রায়পুর, একাটুনা, কামালপুর, গিয়াসনগরসহ কমলগঞ্জ থেকে ডাব নিয়ে আসেন তিনি। মাঝে মধ্যে মৌলভীবাজারের বাইরে থেকেও ডাব আনতে হয় তাকে।

একশ’ ডাব আকার অনুযায়ী কখনো তিন থেকে চার হাজার আবার পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায় কিনতে হয় পাইকারদের কাছ থেকে। এখন একটা ডাব খরচসহ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হয়।

কথা হয় শহীদ মিনার সংলগ্ন কোর্টরোডে ডাব বিক্রেতা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে একসঙ্গে অনেক নারিকেল গাছ চুক্তিতে কিনতাম, এখন গাছ মালিক গাছ আলাদা আলাদা বিক্রি করেন। তাই দাম দিয়ে কিনতে হয়।

ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দুটি ডাব ১৬০ টাকা দিয়ে কিনেছেন আমীর মিয়া। তিনি বলেন, একেকটি ডাব ৮০ টাকা করে কিনেছি। তিন চারজন ডাব বিক্রেতার কাছে ঘুরে একজনের কাছ থেকে নিলাম। সবার কাছে একই দাম। ডাবের সাইজ ভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা কমবেশি, কিন্তু আকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে কোনো ডাব নেই।

বেশি দাম দিয়েই ডাব কিনে নিচ্ছেন, অনেকে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্রেতা মনসুর আলম জানান, ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় ডাব কিনে তারা ৭০- ৮০ টাকা বিক্রি করছে, এটা অধিক দাম। এগুলো কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা অভিযান পরিচালনা করছি জনসচেতনতার লক্ষ্যে। জনবল শূন্যতার মধ্যে আমরা একা কত পারব। সাধারণ মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।’

 

মন্তব্য

Beta version