-->
শিরোনাম

প্রধান শিক্ষকের ভয়ে স্কুলবিমুখ

সুজন মোহন্ত, কুড়িগ্রাম
প্রধান শিক্ষকের ভয়ে স্কুলবিমুখ
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

এমনকি তার ভয়ে দুই সপ্তাহ ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে নির্যাতিত শিক্ষার্থীসহ অনেকেই। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পরিবারের অভিযোগ, নানামুখী চাপের কারণে তারা এখনো অভিযোগ দিতে পারছেন না।

ঘটনাটি রৌমারীর উজান ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। চলতি মাসের প্রথম সোমবার (৪ এপ্রিল) ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ওই ঘটনা ফাঁস হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।

নির্যাতিত এক শিশুর অভিভাবক জানান, ৪ এপ্রিল দুপুরে উজান ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম পানি আনার কথা বলে দুই ছাত্রীকে আলাদা কক্ষে ডেকে নেন। এ সময় তাদের জোর করে কোলে বসিয়ে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন।

তাদের সঙ্গে অশালীন কথাবার্তাসহ কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন ওই প্রধান শিক্ষক। পরে এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। এ সময় কান্নাকাটি করে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান নির্যাতিনের শিকার শিক্ষার্থীরা।

পরে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার এক শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে বিষয়টি জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি।

ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার (যৌন নিপীড়ন) পর অভিভাবকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি (প্রধান শিক্ষক) থাকাকালীন সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেন না। যৌন নিপীড়ন ছাড়াও অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, ‘স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেমের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ জন্য আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি অফিসিয়ালি কেউ জানায়নি।’

মন্তব্য

Beta version