-->
শিরোনাম

ভোগান্তির আরেক নাম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

মো. পলাশ প্রধান, গাজীপুর
ভোগান্তির আরেক নাম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জ্যামে পড়ে আছে যানবাহন

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটারে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অসহনীয় যানজটে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

এই যানজট বিভিন্ন সময় এসে ঠেকছে রাজধানীর মহাখালী পর্যন্ত। এর প্রভাব সরাসরি পড়ছে মহাখালীর আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও। যার কারণে এখন যানজট আর জনদুর্ভোগের আরেক নাম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের অংশ।

নিয়মনীতি ভঙ্গ করে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন প্রাইভেট কার চলাচল, সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট; পাশাপাশি সড়কটিতে চলমান উন্নয়ন কাজের ধীরগতিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবী মানুষের।

ভোগান্তির মাত্রা বাড়ে শেষ বিকেলে। অফিস শেষে বাসায় ফিরতে নাজেহাল অবস্থা গাজীপুরবাসীর। এই চিত্রের পরিবর্তন নেই গভীর রাত পর্যন্ত।

টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার অংশ নিয়ে যাত্রীসাধারণের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। উন্নয়নকাজের জন্য এখনই চলাচল করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। একটু বৃষ্টি শুরু হলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়ক সচলে পুরোদমে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে।

টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার, ওভারপাস, বিআরটি, সাধারণ যান চলাচলের পৃথক লেন নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের নির্মাণকাজ একসঙ্গে চলছে, যার কোনোটিই শেষ হয়নি।

২০১২ সালে গাজীপুর থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) আওতায় দেশের প্রথম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প শুরু হয়।

২ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে মেয়াদ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর করা হয় এবং ব্যয় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৪ কোটি ৮২ লাখ ১৪ টাকা। এরপর আরও দুই দফা প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে গাজীপুরে মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যানজট আর জনদুর্ভোগ কমাতে ঈদকে কেন্দ্রে করে কয়েক স্তরে কাজ করবে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ সদস্যরা।’

তিনি আরো বলেন, ‘দু-একদিনের মধ্যে আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে মহাসড়কের দুই পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান, মাকের্ট, বাসস্টেশন, কাউন্টার উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে। তবে, নিদির্ষ্ট স্থান ছাড়া কোথাও গাড়ি থাকিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না।’

মন্তব্য

Beta version