উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হাওড়ের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ডুবে গেছে।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৪০ হেক্টর জমির আধা পাকা বোরোধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও কৃষকরা বলছেন- ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এ হিসেব আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও কৃষকরা জানান, গত দুইদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে নাসিরনগর হাওরাঞ্চলের আধা পাকা ধানের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে মেঘনা, লঙ্গর এবং বলভদ্র নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমশ নিন্মাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। এতে হাওরপারের বাসিন্দাদের একমাত্র ফসল বোরোধান হারিয়ে কৃষকরা অনেকটা নির্বাক হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার গোয়াল নগর গ্রামের মরফত আলী বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের ফসল এখন পানির নিচে। ভাবতেই পারিনি দুইদিনের ব্যবধানে আধা পাকা ধানগুলো এভাবে পানিতে তলিয়ে যাবে। বছরের একটি মাত্র ফসল আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন, অহন কেমনে কী করুম বুঝতাছি না।’
নাসিরপুরের রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘পানি বাড়তাছে (বৃদ্ধি পাচ্ছে)। গাঙ্গের পানি (নদীর পানি) এমনে বাড়লে সব জমি পানির তলে যাইবো গা।’
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৪০ হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে স্থানীয় কৃষকদের হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ আরো কয়েকগুণ। দ্রুত পানি না নামলে আরো বেশি ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার গোয়ালনগর, নাসিরপুর, টেকানগর, তিফাতনগর এলাকার ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পানি বাড়ার বিষয়ে পূর্বাভাস থাকায় অন্তত ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কৃষকদেরকে ধান কাটতে বলা হয়। এ অনুযায়ি যারা ধান কেটেছেন তাদের সমস্যা হয়নি। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ি নদী এবং হাওরপাড় সংলগ্ন ৪০ হেক্টরের মতো ধানি জমি তলিয়ে গেছে।’
পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য