নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের গম বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের আলাদা দুই মামলায় সাবেক খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার সাত বছর করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
দুদকের আইনজীবী হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর পর এ রায় ঘোষণার সময় আসামি আব্দুল মতিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ খাদ্যগুদামে থাকাকালে সাবেক কর্মকর্তা আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে দুই দফায় মোট ১৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার গম গুদাম থেকে কালোবাজারে বিক্রি করে তা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দুদক আইনে তার নামে দুটি মামলা হয়।’
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘১৯৯৫ সালে খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন ১৩ লাখ টাকার গম কেনেন। সেগুলো রিসিভ করলেও গুদামে স্টক করেননি তিনি। এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে ২ লাখ ৪১ হাজার টাকা মূল্যের গম কিনে সেই গমও গুদামে স্টক করেননি। এসব অভিযোগ উঠলে তদন্তে সত্যতা পায় দুদক। পরে গম বিক্রির টাকা আত্মসাতের আলাদা দুটি মামলা করে দুদক।’
দুদক আইনজীবী আরও বলেন, ‘আলাদা দুটি মামলায় সাত বছর করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিকেলে তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
মন্তব্য