নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আম কুড়ানোর অপরাধে নাদিয়া আক্তার (৮) নামে এক শিশুকে মারধরের শিকার হয়েছেন। গুরুতর আহত ওই শিশুটিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামে গত সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাদিয়া সদর ইউনিয়নের রাজিব ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নাজমুলের মেয়ে। উত্তর দুরাকুটি গ্রামের নানার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। আর অভিযুক্ত সোহেল মিয়া ওই এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, দুপুরে সহপাঠীদের সঙ্গে স্থানীয় সোহেলের বাগানে আম কুড়াতে যায় নাদিয়া। এ সময় আম কুড়ানোর অপরাধে সোহেল তাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিঠে উপর্যুপরি মারধর করে। এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি। পরে মাটিতে আছড়ে ফেলে বুকের ওপর পা তুলে চাপ দেয়। এতে নাদিয়া তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এমতাবস্থায় নাদিয়ার মা লায়লা বেগম তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
লায়লা বেগম বলেন, ‘সামান্য ঝড়ে পড়া আম কুড়ানোর অপরাধে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি নির্যাতনকারী সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সোহেল মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য তার অভিভাবককে বলেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে থানায় যেতে বলেছি।’
মন্তব্য