-->
শিরোনাম

গুলিতে বাবার কোলে সন্তান নিহত: এসপির ঘটনাস্থল পরিদর্শন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

গুলিতে বাবার কোলে সন্তান নিহত: এসপির ঘটনাস্থল পরিদর্শন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হাজীপুরে বাবার কোলে থাকা শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাতকে গুলি করে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে হত্যার ঘটনাস্থল বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরের ৫ নং ওয়ার্ড মালেকার বাপের দোকান এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। নিহত তাসফিয়া ওই এলাকার মাওলানা আবু জাহেরের মেয়ে। আবু জাহের সৌদি প্রবাসী।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, শিশু তাসফিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দেওয়ার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল হাসান, বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিম মীর্জা, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি।

জানা গেছে, আবু জাহেরের বাড়িতে মাটি কাটা নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী রিমনের দ্বন্দ্ব চলছিল। গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির সামনে মালেকার বাপের দোকান এলাকায় যান আবু জাহের। এ সময় চার বছরের কন্যা সন্তান তাসফিয়াও তার সঙ্গে ছিল। তখন তারা পাশে থাকা দোকানে জুস ও চিপস কিনতে যায়। ওই দোকানের সামনে সন্ত্রাসী রিমন, রহিমসহ আরো কয়েকজন আবু জাহেরকে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আবু জাহেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে তারা। এতে আবু জাহেরের চোখে এবং শিশু তাসফিয়ার মাথা ও মুখমণ্ডলে গুলি লাগে।

গুলির পর সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ আবু জাহের ও তার শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে রাত আটটার দিকে কুমিল্লায় তাসফিয়া মারা যায়।

এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহত তাসফিয়ার খালু হুমায়ুন কবির। এই মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল আসামিরা এখনো ধরা পড়ে নাই বলে অভিযোগ রয়েছে।

মন্তব্য

Beta version