-->

সাত সকালে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাত সকালে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি
প্রায় এক ঘণ্টা পর ঝড়-বৃষ্টি কমে আসে; লোকজন বাইরে বেরুতে শুরু করেন। ছবি- ভোরের আকাশ

রাজধানী ঢাকার আকাশ আজ ভোরেই ছেয়ে গিয়েছিল কালো মেঘে। সকাল পৌনে ৭টায় যেন সন্ধ্যা নেমে এসেছিল রাজধানীতে। এর কিছু সময়ের মধ্যেই শুরু হয় কালবৈশাখী। দমকা হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি আর ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকে। কোথাও কোথাও পড়ে শিলাও।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর ঝড়-বৃষ্টি কমে আসে; লোকজন বাইরে বেরুতে শুরু করেন। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি জমতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানে গাছের ডাল বা গাছও ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকালে এমন কালবৈশাখী হয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোর ৬টার আগে দেশে সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় রংপুরে। ৬টার পর আধা ঘণ্টায় রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার।

আরো পড়ুন: ঝড়: দুর্ঘটনার শঙ্কায় লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ বাংলাবাজার-শিমুলিয়ায়

এমন ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে কি না, জানতে চাইলে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, কালবৈশাখী ধারবাহিকভাবে হয় না। এটা মৌসুমে একাধিকবার হতে পারে। সে মৌসুম এখনও শেষ হয়নি।

 

রাজধানীর মিরপুর সড়কের শ্যামলী এলাকায় বৃষ্টির পানি জমতে দেখা যায়। ছবি- ভোরের আকাশ

 

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবাহওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছিল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মন্তব্য

Beta version