-->
শিরোনাম
বোরো ধানের বাম্পার ফলন

সোনালি ধানে দুলছে স্বপ্ন

ফরহাদ খান, নড়াইল
সোনালি ধানে দুলছে স্বপ্ন
এ বছর বোরো ধান ভালো হওয়ায় খুশি নড়াইলের কৃষকরা

মাঠের পর মাঠ। যেদিকেই চোখ যায়, শুধু ধান আর ধানক্ষেত। সবুজ ধানে ভরে গেছে ক্ষেত। বাতাসে দুলছে ধানগাছ। সবুজ ও সোনালি এ ধানেই রয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন।

চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলন হওয়ায় খুশি নড়াইলের হাজারো কৃষক। আগাম রোপণকৃত জমির পাকা ধান কাটাও শুরু করেছেন অনেক কৃষক। তবে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হবে সপ্তাহখানেক পরে।

নড়াইলে গত বছরের তুলনায় চাষাবাদ যেমন বেড়েছে, তেমনি ফলনও ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা সহজে সোনালি ধান ঘরে তুলতে পারবেন- এমন প্রত্যাশা সবার।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলার ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ৪৫০ হেক্টর বেশি।

কৃষকরা বিনামূল্যে সার, বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। মানভেদে বর্তমানে প্রতিমণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকায়। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুরের শিক্ষক মিজানুর রহমান। শিক্ষকতার পাশাপাশি ১৮ শতক জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করেছেন তিনি।ক্ষেতের জন্য সার, ওষুধ ও পানি ঠিকমতো পেয়েছেন তিনি। এই জমিতে ১২ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

নড়াইল সদর উপজেলার সরসপুর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন জানান, ‘৫০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। হাটবাজারে নতুন ধান বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিমণ ধানের বর্তমান বাজারমূল্য ১১০০-১২০০ টাকা।’

একই গ্রামের কৃষক সুকুমার অধিকারী বলেন, ‘প্রায় দুই একর ২২ শতাংশ জমি বর্গা দিয়েছি। ধান খুব ভালো হয়েছে। সপ্তাহখানেক পরে ধান কাটা শুরু হবে।

শ্যালো মেশিন মালিক মিজান বলেন, ‘দুই একর ২২ শতাংশ জমিতে ধান চাষাবাদ করেছি। এর মধ্যে ৭২ শতাংশ জমি আমার নিজের। এবার সারের কোনো ঘাটতি হয়নি। ধানের ফলন যেমন ভালো, দামও বেশ।’

একই গ্রামের সেচ মালিক রাজা মিয়া বলেন, ‘আমার দুটি শ্যালো মেশিনে প্রায় ১৭ একর জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। প্রতিটি জমিতে ধানের ফলন ভালো হয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘নড়াইলে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সময়মতো বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরণ ঠিকমতো পাওয়ায় ধান চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়া প্রণোদনার আওতায় ৯ হাজার কৃষককে হাইব্রিড এবং ছয় হাজার কৃষককে উফশী জাতের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’

মন্তব্য

Beta version