ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলছে উন্নয়ন কাজ। সড়কের কয়েকটি স্থানে খোড়াখুড়ি, ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ ও সড়ক বিভাজন স্থাপনের কার্যক্রম চলমান। ফলে চলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে যানজট ও ভোগান্তি। এ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ে তৈরি হচ্ছে জনদুর্ভোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবিতে সড়ক বিভাজন স্থাপন, ধামরাইয়ের কালামপুর ও শ্রীরামপুরে কার্পেটিংয়ের কাজ চলমান থাকায় এসব এলাকায় দেখা দিচ্ছে যানজট।
এ ছাড়া নবীনগর থেকে চন্দ্রা সড়কের বাইপাইল, রপ্তানি বাসস্ট্যান্ড, বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া, জিরাবো বাসস্ট্যান্ডে পরিবহন বাসের এলোমেলো পার্কিংয়ে তৈরি হচ্ছে যানজট।
খানা-খন্দে ভরা বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে জমে থাকে পানি। আর বিভিন্ন স্থানে পাথর ও পিচ এর পরিবর্তে এ সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে ইট।
ধামরাইয়ের প্রাইভেটকার চালক সুমন ভোরের আকাশকে বলেন, ‘সড়কে কাজ চলার কারণে মাঝে মাঝে এক থেকে দেড় ঘণ্টা জ্যামে পরে থাকতে হয়। এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে ২/৩ ঘন্টা লেগে যায়।’
বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই সড়কটির বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দে ভরপুর। এর কারণে সড়কে যানবাহন খুব ধীরে চলে। বৃষ্টি হলে সড়ক হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়।’
ঢাকা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শামীম আল মামুন ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আসন্ন ঈদকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সড়কে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম সমাপ্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি। যে সকল স্থানে যানজট দেখা দিচ্ছে সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করছি। আশা করছি সড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বারার আগেই অধিকাংশ কাজ শেষ করতে সক্ষম হবে।
‘সড়কের উপর ভাসমান দোকান উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাভারের বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেয়া হয়।’
এদিকে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করেছে সওজ। সড়কটির সম্পূর্ণ দেখভাল করছেন তারা।
প্রকল্প পরিচালক মো.শাহবুদ্দিন খান বলেন, ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছ থেকে আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর যেখানেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে গুরুত্ব বিবেচনা করে সেগুলোর সমাধান করা হচ্ছে।’
মন্তব্য