জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর প্রশাসক পদে নিয়োগ পেতে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কে পাচ্ছেন জেলা পরিষদের প্রশাসকের পদটি।
প্রশাসক হিসেবে আবারও পদটি পেতে যাচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান, না অন্য কেও। এমন প্রশ্ন রয়েছে যেমন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। আবার শহরের সাধারণ মানুষেরও রয়েছে কৌতুহল।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জরুরী এক সভা করে। ওই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট সভাপতিত্ব করেন।
সভা সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা সূত্রে জানা গেছে, সভায় আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা কমিটির তিন শীর্ষ নেতার নাম জেলা কমিটি থেকে প্রস্তাব আকারে সিন্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানোর জন্য।
তারা হলেন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ থেকে সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোল্লা সামছুল আলম।
এসব নামের বাহিরেও জেলা পরিষদের প্রশাসক পদ পেতে আগ্রহীরা কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন কোনো কোনো জেলা পর্যায়ের নেতা।
তবে জেলা পর্যায়ের একাধিক শীর্ষ নেতা জানালেন, নাম পাঠানো হোক আর ঢাকায় লবিং করা হোক, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা এ পদে যোগ্য, ত্যাগী নেতাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে ভুল করবেন না।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম হক্কানী বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে তারা জেলা কমিটির সভা করে তিন জনের নাম পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে একজনকে ১৮০ দিনের জন্য নিয়োগ দিবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল জানান, দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তিনজনের নাম প্রস্তাব আকারে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়েছেন।
তিনিও এ পদটি পেতে আগ্রহী কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে আগ্রহ অনাগ্রাহ বলতে কিছু নেই। দলনেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাওকে তিনি তাাকে নিয়োগ দিবেন।’
এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) নিজের পছন্দের নেতার পক্ষে পোস্ট দিচ্ছেন কর্মী সমর্থকদের কেউ কেউ।
এরশাদ সরকারের সময় জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম নিয়োগ পান জাতীয় পার্টির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা (প্রয়াত) খন্দাকার ওলিজ্জামান আলম। আওয়ামী লীগ সকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এলে জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী।
পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান রকেট। জেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্য ও জেলার সকল পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিল, জেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান এর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
মন্তব্য