ফরিদপুর জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। গত শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী এসেছে ৮৭ জন। এতে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে প্রায় ১০ গুণ রোগী এখন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় রোগীদের ঠাঁই মিলছে হাসপাতালের ফ্লোরে, বারান্দায় ও বাইরের গাছতলায়। সেখানে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতালে জেলার একমাত্র ডায়রিয়া ওয়ার্ড রয়েছে। যেখানে রয়েছে মাত্র ১০টি বেড। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ১০৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছেন। জায়গা না পেয়ে বেশিরভাগ রোগী খোলা আকাশের নিচে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ দিকে হাসপাতালের ভেতরে বাইরে নোংরা পরিবেশ ও ডাক্তার, নার্স সঙ্কটসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের।
রোগীদের অতিরিক্ত চাপে চিকিৎসা সেবায় সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছে হাসপাতালের স্টাফ ও কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, কয়েকদিন ধরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাসপাতালটির ডায়রিয়া ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক তানজিরুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীদের মধ্যে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আছেন। তবে হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতালের ফ্লোরে, বারান্দায় ও বাইরের গাছতলায় বিছানা পেতে শুয়ে আছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডায়রিয়া সাধারণত পানিবাহিত রোগ। এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। খোলা খাবার খাওয়া পরিহার করতে হবে এবং বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।’
মন্তব্য