-->
শিরোনাম

শিল্প এলাকা ছাড়া সবখানেই শব্দদূষণ

তারেক মাহমুদ, রাজশাহী
শিল্প এলাকা ছাড়া সবখানেই শব্দদূষণ
শব্দদূষণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে

শিল্প এলাকা ছাড়া রাজশাহীর সবখানেই হচ্ছে শব্দদূষণ। বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার শব্দের মানমাত্রা পরীক্ষা করে দেখে এ কথা জানানো হয়েছে। বারিন্দ এনভায়রনমেন্টের সহযোগিতায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।

বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান বলেন, ‘সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন এলাকাকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, মিশ্র এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা এবং শিল্প এলাকা। রাজশাহী শহরের শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য চার জায়গাতেই শব্দদূষণ হচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘নীরব এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রা থাকতে হবে ৫০ ও ৪০ ডেসিবেল। কিন্তু রাজশাহীর ঘোষিত নীরব এলাকায় দিনে শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া গেছে ৮৪ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রা থাকতে হবে ৭০ ও ৬০ ডেসিবেল। তবে রাজশাহীর বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া যায় ৮৮ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে। এভাবে সব ক্যাটাগরিতেই শব্দের মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে।’

শুধু শিল্প এলাকায় শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা পাওয়া গেছে। শিল্প এলাকায় দিনে ও রাতে সর্বোচ্চ শব্দের ঘনমাত্রা থাকতে হবে ৭৫ ও ৭০ ডেসিবেল। রাজশাহীর শিল্প এলাকায় শব্দের ঘনমাত্রা পাওয়া যায় ৭৪ ডেসিবেল। প্রাপ্ত মানগুলো থেকে দেখা যায়, শিল্প এলাকা ছাড়া অন্যসব জায়গায় শব্দের নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রম করেছে। যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর’।

শব্দের মানমাত্রা নির্ণয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) অধ্যাপক ইকবাল মতিন। পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেন প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান। তাকে সহযোগিতা করেন পিএইচডি গবেষক অলি আহমেদ, শেখ ফয়সাল আহমেদ, মো. ওবায়দুল্লাহ, শামসুর রাহমান, তারেক আজিজ প্রমুখ।

শব্দের মানমাত্রার বিষয়ে প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব শহরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যত্রতত্র হর্ন না বাজানোর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নির্মাণ কাজে শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাখাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ শব্দদূষণে শিশুরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শব্দদূষণের প্রভাব শুধু মানুষের উপর না, প্রতিটি পশু-পাখির উপরেও পড়ে। এ বিষয়ে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মন্তব্য

Beta version