পটুয়াখালী দুমকিতে কালাম সর্দারের নামে এক ব্যক্তিকে ‘কুত্তা’ বলায় এক পরিবারের ছয়জনকে কামড়িয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ঝাটরা গ্রামের সত্তার শিকদার এর বাড়ির উঠানে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
আহতরা হলেন- সত্তার শিকদারের স্ত্রী মাসুদা বেগম (৫০), মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২০), ৬ মাসের নাতি রাইয়ান, তার ভাই সাইদুল শিকদারের ছেলে শাকিল (১৪), আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী (২৭), সুলতান শিকদারের ভাগনে কাজল হোসেনের মেয়ে তাসমিম (১২)।
আহত সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের মৃত. কাদের সর্দারের ছেলে কালাম সর্দার (৫০), তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫), মেয়ে সীমা বেগম (৩০), সুখী বেগম (২০), ছোট জামাই মাইদুল ইসলাম (৩০), সালাম সর্দার (৬০), সালাম সর্দারের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫০), মেয়ে মানসুরা বেগম (২২) ও মনি আক্তার (১৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে কালাম সর্দার স্থানীয় জব্বার মাস্টারের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাবুল হাওলাদারের ১০ বছরের ছেলে বিজয় তাকে ‘কুত্তা কালাম’ বলে ডাক দেয়। বাড়িতে গিয়ে মেঝ ভাই সালাম সর্দারকে বিষয়টি জানান কালাম সর্দার।
বিজয়কে শিকদার পরিবারের লোকজন বিষয়টি শিখিয়ে দিয়েছেন বলে সন্দেহ করেন সর্দার বংশের লোকজনেরা। এরপর তারা সবাই দলবল নিয়ে সত্তার শিকদার ও আনোয়ার শিকদার এর বাড়িতে হামলা চালায়।
স্থানীয় মেম্বার মো. মিজান সর্দার বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে আগে থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সালাম ও কালামের পরিবার অত্যন্ত খারাপ। বিগত দিনেও মৌলভী আবদুল বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়িয়েছে তারা।’
দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য