সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের মাউতি ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল তিন জেলার ফসল।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ এবং শাল্লার হাওরের অংশের ফসল তলিয়ে যায়।
ছায়ার হাওরের কৃষক কমল দাশ বলেন, ‘রোববার ভোর থেকেই হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে। রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টি হয়। ওখান থেকে সকালে মাউতি বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। পরে পানির চাপে বাঁধ উপচে সবদিক দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। আমার বাক্কা ধান ওই পানির নিচে তলিয়ে গেছে।’
তবে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেবের দাবি, ‘এই হাওরের ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ।’
তিনি বলেন, ‘নদীর পানিতে চাপ বেড়েছে। পানির চাপে আজ সকালে বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। তবে ক্ষতি তেমন একটা হবে না, কারণ এই হাওরের ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ।’
যদিও ইউএনও’র কথা মানতে নারাজ শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু।
তিনি বলেন, ‘শাল্লার ছায়ার হাওরের জমি তিন জেলায় পড়েছে। এই হাওর সুনামগঞ্জের শাল্লা, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি ও কিশোরগঞ্জের ইটনায় পড়েছে। তবে বেশি অংশই সুনামগঞ্জের।
‘ইউএনও মহোদয় যে ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে বলছেন- সেই তথ্য মানতে পারলাম না। কারণ হাওরে অর্ধেক ধান রয়ে গেছে’, বলেন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
মন্তব্য