-->
শিরোনাম

বাবার কোলে শিশুকে গুলি করে হত্যা: অস্ত্রদাতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
বাবার কোলে শিশুকে গুলি করে হত্যা: অস্ত্রদাতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাজীপুরে বাবার কোলে শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাতকে (৪) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার নাম সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল (২৯)। শনিবার রাত ১১টার দিকে বেগমগঞ্জের হাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জুয়েল উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।

এসপি বলেন, ‘শিশু তাসফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুন উদ্দিন ওরফে রিমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে প্রকাশিত আসামি সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল। জবানবন্দিতে রিমন জানায়,তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতা জুয়েল।’

এসপি আরো বলেন, ‘জুয়েলকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের সোলাইমানের পরিত্যক্ত বসতঘরে শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি দুটি কিরিচ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। রাত পৌনে ৩টার দিকে একই মামলার পলাতক আসামি বাদশার বসতঘর থেকে আসামি জুয়েলের দেওয়া তথ্যমতে একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।’

এ ঘটনায় জুয়েল ও পলাতক আসামি বাদশার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এসপি।

এদিকে এ মামলার প্রধান আসামি রিমন বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মোমিন উল্যাহর ছেলে। তাসফিয়া হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ ও সুবর্ণচরের চরজব্বর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে আরও ৯টি মামলা রয়েছে।

গত বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে শিশু তাসফিয়া আক্তারকে চিপস-জুস কিনে দিতে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর মালেকার বাপের দোকান এলাকায় যান প্রবাসী আবু জাহের। তিনি তার ভাগ্নে আবদুল্লা আল-মামুনের দোকানে কথা বলছিলেন। এমন সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে রিমন কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে সেখানে হামলা চালায়।

এ সময় জাহের তার মেয়েকে কোলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিমন। এতে তাসফিয়ার মাথায় ও মুখে গুলি লাগে। এছাড়া আবু জাহেরেরও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় মারা যায় তাসফিয়া । এ ঘটনায় তাসফিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় মো. রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে। এ মামলায় পুলিশ,র‌্যাব ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মন্তব্য

Beta version