-->
শিরোনাম

খুলে দেওয়া হলো সফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভার

গাজীপুর প্রতিনিধি
খুলে দেওয়া হলো সফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভার

ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর নবনির্মিত সফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভার। সোমবার সকালে গাজীপুর মহানগরের নাওজোর এবং কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ওপর নির্মিত এ দুটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

দেশের উত্তর অঞ্চলের ২৩টি জেলার ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা। প্রতি ঈদে এসব সড়ক পথে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। যানজটে পড়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদের ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে।

ফ্লাইওভারের প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, ঈদে ঘরেফেরা মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় এজন্য যানবাহন চলাচলের জন্য ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারটি প্যাকেজে কাজ হচ্ছে। জয়দেবপুরের ভোগড়া মোড় থেকে কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্ক পর্যন্ত ১নং প্যাকেজের অধীন নাওজোর ও সফিপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

১নং প্যাকেজের প্রজেক্ট ম্যানেজার, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, ‘এবার গত দুই বছরের তুলনায় বেশি মানুষ ঢাকার বাইরে ঈদ করতে যাবে। তাই প্রত্যেক মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। সেই অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী ও সাসেক’র প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট কমিয়ে আনতে পরিকল্পনা করে। সেই প্রেক্ষিত্রে আমাদের সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ মহাসড়কে ১নং প্যাকেজের অধীনে সফিপুর ও নাওজোর এলাকায় দুটি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলমান ছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১০ মিটার দৈর্ঘ্য নাওজোর ফ্লাইওভার ও ২০১৯ সালের জুন মাসে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬২ মিটার দৈর্ঘ্য সফিপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ফ্লাইওভার দুটির ৯৮ ভাগ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রেলিংয়ের কিছু কাজ বাকি আছে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে ফ্লাইওভার দিয়ে যানচলাচলের জন্য সোমবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু দুটি ফ্লাইওভারের ৯৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে, তাই ঈদের পর ফ্লাইওভারটি আর বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না। যতটুকু কাজ বাকি আছে, স্বল্প সময়ের জন্য এক লেন বন্ধ করেই আমরা বাকি কাজ শেষ করতে পারবো।’

সালনা কোনাবাড়ি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার দুটি খুলে দেওয়ায় ঈদে উত্তরবঙ্গগামী মানুষের যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।’

মন্তব্য

Beta version