-->
শিরোনাম

কম হওয়ায় ভিজিএফের চাল নেননি ইউপি চেয়ারম্যানরা

মাদারীপুর প্রতিনিধি
কম হওয়ায় ভিজিএফের চাল নেননি ইউপি চেয়ারম্যানরা
মাদারীপুর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানরা

ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ কম হওয়ায় তা গ্রহণ করেননি মাদারীপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা।

বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।

প্রতিবাদ সভায় মাদারীপুর জেলা ইউপি চেয়ারম্যানদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি এ বছর সদর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে গড়ে ৯০ থেকে ১৫০ জন দুস্থের জন্য ভিজিএফের চাল বরাদ্দ এসেছে। যা গতবারের চেয়ে খুবই সামান্য। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের জরিপ মতে মাদারীপুর জেলা ধনীর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তাই বরাদ্দ কম এসেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সাংবাদিকরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জরিপ করে দেখেন গত এক বছরে কতজন গরিব ধনী হয়েছে। আমাদের জানা মতে, এক শতাংশ গরিব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাহলে এত কম চাল কীভাবে দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করব? এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর ভিজিএফের চাল গ্রহণ করব না।’

এ সময় চেয়ারম্যানদের সভাপতি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহর বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। গ্রামকে শহর বানাতে হলে প্রথমে মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হবে। কিন্তু আমাদের যে ৪০ দিনের মাটির তৈরির রাস্তার কর্মসূচি ছিল, সেখানে হতদরিদ্রদের দিয়ে কাজ করানোর কথা ছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলজিএসপির যে টাকা বরাদ্দ আসত তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাবিখা ও টিআরের বরাদ্দ নামেমাত্র আছে। আমরা দাবি জানাই অতি দ্রুত এই প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করা হোক। নয়তো আমরা জেলার সব চেয়ারম্যানরা কঠোর আন্দোলনে নামব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান, শিরখারা ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার, দুধখালি ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক খান, পাচখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন মোল্লা (টুকু), কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. রায়হান কবীর, পেয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফায়েকুজ্জামান ও মোস্তফাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান।

গত বছরও মাদারীপুর সদরে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল পেয়েছে ১৯ হাজার ৭৩৯টি দুস্থ পরিবার। এই বছর ঈদ উপলক্ষে সেই বরাদ্দ এসেছে দুই হাজার ১৫২টি।

মন্তব্য

Beta version