-->
শিরোনাম

গ্রাম পুলিশকে মারধর করায় এসআইকে প্রত্যাহার

ময়মনসিংহ ব্যুরো
গ্রাম পুলিশকে মারধর করায় এসআইকে প্রত্যাহার
এসআই আরাফাত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে হোসাইন মোহাম্মদ আরাফাত নামে থানার উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

মারধরের শিকার ওই গ্রাম পুলিশের নাম আবু তাহের। তিনি উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশের সদস্য। বর্তমানে ইউনিয়নটির পানান এলাকার দায়িত্বে রয়েছে।

বিষয়টি দৈনিক ভোরের আকাশকে নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া।

তিনি বলেন, ‘সোমবার দুপুরে আমি থানায় ছিলাম না। পরে জানতে পারি ওই সময় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হাজিরা দিতে গেলে ওই গ্রাম পুলিশকে এসআই আরাফাত মারধর করে। এতে ওই গ্রাম পুলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ফলে ঊর্ধ্বতন কমকর্তাদের নির্দেশে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি সোমবার থানায় গিয়ে গ্রাম পুলিশের সদস্যদের সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে হয়। সোমবার দুপুরে থানা চত্বরে গিয়ে সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে যান আবু তাহের।

থানায় গ্রাম পুলিশের সদস্যদের হাজিরা গ্রহণ করছিলেন এসআই আরাফাত। জাটিয়া ইউনিয়ন থেকে কে হাজির হয়েছেন, ডাক দেওয়ার পর এগিয়ে যান গ্রাম পুলিশের সদস্য তাহের। এ সময় এসআই আরাফাত পূর্বের একটি ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন তাহেরের ওপর।

এর আগে একটি মামলার তদন্তের জন্য তাহেরের কাছে সহযোগিতা চেয়ে না পাওয়ায় কলার ধরে থানার ভেতরে নিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। একই সঙ্গে তাহেরের মোবাইল নিয়ে নেয় এসআই আরাফাত। চাকরি খেয়ে ফেলারও হুমকি দেন। ওই অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তাহের।

গ্রাম পুলিশ আবু তাহের বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহের মতো থানায় হাজিরা দিতে আসি। সবাই এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এসআই আরাফাত আমি উপস্থিত আছি কি না জানতে চায়। এ সময় আমি আছি বলতেই তিনি আমার শার্টের কলার ধরে একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বেত দিয়ে আমাকে মারধর করেন।’

এসআই হোসাইন মোহাম্মদ আরাফাতের মন্তব্য জানতে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। দৈনিক ভোরের আকাশের পরিচয় এসএমএস দিলেও সারা দেননি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এরপর ওই পুলিশকে প্রত্যাহার কারা হয়।’

মন্তব্য

Beta version