-->
শিরোনাম

ঈদযাত্রা: এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত একমুখী চলাচল

জুয়েল রানা, টাঙ্গাইল
ঈদযাত্রা: এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত একমুখী চলাচল
বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর যাওয়ার রাস্তা

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

এবার ঈদে গাড়ির চাপ বেশি থাকলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ওয়ান ওয়েতে (একমুখী) যানবাহন চলাচল করবে। শুধু উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের জন্য সড়কের এ অংশটি বরাদ্দ থাকবে। ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গায় প্রবেশ করবে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।

পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, ‘ঢাকা থেকে যানবাহনগুলো চারলেন সড়কের সুবিধায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুইলেনের। চারলেনের যানবাহন দুই লেনের সড়কে প্রবেশের সময় যানজটের সৃষ্টি হয়।

‘এবার এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোল প্লাজার কাছে গোল চত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার একমুখী (ওয়ানওয়ে) করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে এই সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে’, বলেন মোহাম্মদ কায়সার।

বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর যাওয়ার রাস্তা

তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা যানজটে আটকা পড়লে দুর্ভোগ লাঘবের জন্য মহাসড়কের পাশের পেট্রোল পাম্প, হোটেল রেস্তোরাগুলোতে যেন শৌচাগার ব্যবহার করতে পারে সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের পাশে পাম্প, রেস্তোরা নেই। তাই ওই অংশে ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।

‘ইফতার ও সেহরীতে যেন অসুবিধা না হয় সে জন্য এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়া মানুষের মাঝে পানি, শুকনা খাবার সরবরাহের জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’, বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

Beta version