ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে গতকাল বুধবার রাতে যানবাহনের ধীর গতি ছিল। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে তা স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের আশেকপুর, ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে অতিরিক্ত যানবাহনে চাপে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরো পড়ুন: ঈদযাত্রা: এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত একমুখী চলাচল
বগুড়া থেকে আসা এসআই পরিবহনের বাস চালক খোরশেদ মিয়া বলেন, ‘গাড়িতে তেমন যাত্রী নেই। তবে ঢাকা থেকে আসার সময় যাত্রী হবে। এদিকে রাতে শুনেছি এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট ছিল। এখন রাস্তা স্বাভাবিক রয়েছে।’
ট্রাক চালক হাসান আলী বলেন, ‘এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত রাতে গাড়ির চাপ ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোনো চাপ নেই।’
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতোয়ার রহমান বলেন, ‘রাতে উত্তরবঙ্গ থেকে অনেক গাড়ি ঢাকায় গেছে। ফলে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে মহাসড়কে ধীর গতি ছিল। সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের কোথাও কোনো যানবাহনের জটলা নেই।’
এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। গাড়ির চাপ বেশি থাকলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ওয়ান ওয়েতে (একমুখী) যানবাহন চলবে। শুধু উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের জন্য সড়কের এ অংশ বরাদ্দ থাকবে। ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গায় প্রবেশ করবে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ঢাকা থেকে যানবাহনগুলো চারলেন সড়কের সুবিধায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুইলেনের। চারলেনের যানবাহন দুই লেনের সড়কে প্রবেশের সময় যানজটের সৃষ্টি হয়।’
‘এবার এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোল প্লাজার কাছে গোল চত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার একমুখী (ওয়ানওয়ে) করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে এই সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে’, বলেন মোহাম্মদ কায়সার।
মন্তব্য