-->
শিরোনাম

দুর্ভোগের বোঝা মাথায় নিয়ে উত্তরাঞ্চলে ফিরছে মানুষ

সিরাজুল ইসলাম শিশির, সিরাজগঞ্জ
দুর্ভোগের বোঝা মাথায় নিয়ে উত্তরাঞ্চলে ফিরছে মানুষ
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ে যানজটে আটকা পড়েছে যানবাহন

দুর্ভোগের বোঝা মাথায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলে ফিরছে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। বাস, ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলযোগে যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। অনেকেই বাস না পেয়ে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ট্রাকের ছাদে চড়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সেতুর গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কে থেমে থেমে চলে যানবাহন। যানবাহণের অতিরিক্ত চাপের কারণে কিছু কিছু পয়েন্ট তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রী ও চালককে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

সরেজমিনে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় আবদুল সালাম নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে। বাসের ভাড়া দ্বিগুণ। তাই ট্রাকে চেপে এসেছি। প্রতিবারই এমন দুর্ভোগ হয়। আর দুর্ভোগ জেনেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার জন্য আমরা বাড়িতে আসি।

আতিক হাসান নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী জানান, প্রতি বছরই রাস্তায় জ্যাম থাকে। বিষয়টি আগে থেকেই জানা। এবারো কিছুটা যানজট আর গরমে দুর্ভোগ রয়েছে। তারপরও বাবা, মা ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন তিনি।বেসরকারি চাকরিজীবী সজিব ও তার স্ত্রী মনি জানালেন, তিন বছর করোনার কারণে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যেতে পারেননি তারা। তাই এবার যাচ্ছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঝামেলা কম।

কথা হয় ট্রাকচালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে ট্রাকে যাত্রী নিয়ে আসছি। ভোর ৪টায় রওনা দিয়েছি। ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে উঠেছি। কিন্তু সেতু পার হওয়ার পর যানজটের কবলে পড়েছি। প্রায় দুই ঘণ্টা লেগেছে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার সড়ক পারি দিতে।

জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, ‘ঈদে ঘরফেরা মানুষ বহনকারী যানবাহনের সংখ্যা বাড়ার কারণে ধীরগতি রয়েছে। মাঝে মধ্যে যানজট সৃষ্টি হলেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী নয়। যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ। রোদে পুড়েও মানুষ ট্রাকযোগে ফিরছে।’

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ‘গত তিন বছর করোনার কারণে অনেক মানুষই ঈদে ঘরে ফিরতে পারেনি। তারা এবার ফিরছেন। এ কারণে এ বছর গাড়ির চাপ বেশি। তাছাড়াও বঙ্গবন্ধু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের চার লেনের কাজ চলমান থাকায় কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা সরু হওয়ায় ওই জায়গায় স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তাই ওসব জায়গায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানবাহন ধীরগতিতে চলছে।

তিনি আরো বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৬০০ পুলিশ মাঠে রয়েছে। যানজট নিরসনে তারা রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

Beta version