-->
শিরোনাম

প্রস্তুত প্রাচীনতম টাউন ঈদগাহ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রস্তুত প্রাচীনতম টাউন ঈদগাহ
মৌলভীবাজার সৈয়দ শাহ মোস্তফা সড়কে ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত টাউন ঈদগাহ

মৌলভীবাজারের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত হয় শহরের সৈয়দ শাহ মোস্তফা মাজার সংলগ্ন টাউন ঈদগাহে। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীসমৃদ্ধ জেলার প্রাচীনতম ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সিয়াম সাধনা শেষে ঈদগাহে আনন্দ উৎসব ভাগ করে নিতে প্রস্তুত নান্দনিক এই ঈদগাহটি।

টাউন ঈদগাহের মূল মাঠে প্রতি জামাতে এক সঙ্গে প্রায় ১৪ হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন। তবে মাঠ ও মাঠের বাহিরের মূল সড়ক মিলে একসঙ্গে অর্ধ লাখ মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। মোট তিনটি জামাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

মৌলভীবাজার পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে টাউন ঈদগাহে সংস্কারকাজ চলছিল; যা শেষ হয়েছে। ঈদ জামাতের জন্য ঈদগাহটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদগাহে ৪৮ কাতারে জামাত অনুষ্ঠিত হতো। তবে সংস্কার করার পর সেখানে ৯০ কাতারে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি কাতারে স্বাভাবিক সময়ে ১৫০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। ৯০ কাতারে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন ঈদগাহটিতে।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের তিনটি প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে এ ঈদগাহে। ঈদের নামাজের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৬ টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৭ টায় ও সবশেষ তৃতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায়।

প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন শহরের দেওয়ানি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ মুহিদ উদ্দিন, দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পশ্চিমবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মুহিবুর রহমান ও সবশেষ জামাতে ইমামতি করবেন সুলতানপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব বরেণ্য আলেম মুফতি মাওলানা শামসুজ্জোহা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শ্রমিকরা ঈদগাহের বাহিরের সড়কে তোরণ নির্মাণ ও লাইটিং কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে বর্ধিত অংশ ছাড়াও ঈদগাহের বাহিরের মূল সড়কে বিশাল প্যান্ডেলের কাজও চলমান রয়েছে।

পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘নামাজের নির্দিষ্ট আসন পূর্ণ হলে পরবর্তী জামাতে অংশ নেয়ার জন্য ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা যেন নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ পড়তে পারে সে জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য সমস্যার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টাউন ঈদগাহের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। এর নির্মাণকাজে দেশ-বিদেশ থেকে আমদানি করা মূল্যবান মার্বেল পাথর দিয়ে মিম্বর, গম্বুজ ও বেশ কয়েকটি মিনারসহ বড় দুটি ফটক প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদগাহের পুরো নির্মাণশৈলীতে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর স্থাপত্যের আংশিক অনুসরণ করা হয়েছে।’

মন্তব্য

Beta version