-->
শিরোনাম

পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল নারীর দল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল নারীর দল

কয়েক মামলার আসামি তারা মিয়া (৫৩)। দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন থানায়। তবে এতে বাঁধ সাধে এলাকার কয়েকজন নারী। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে। ওই নারীর দল ছিনিয়ে নিয়েছে তারা মিয়াকে।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের ছয়আনি পাড়ায় রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারী দলে প্রায় ২০ জন ছিলেন।

ওই এলাকার মৃত মো. মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে তারা মিয়া (৫৩)।

আর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, সালথা থানা পুলিশের এসআই খারদিয়া এলাকার বিট কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন ও সহকারী এএসআই মো. লিয়াকত হোসেন।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, 'পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল ও লিয়াকত আসামি তারা মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় এলাকার কিছু নারী দুভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের জাপটে ধরে। এ সুযোগে তারা মিয়া পালিয়ে যান।'

তিনি আরো বলেন, 'অভিযানের সময় কোনো নারী পুলিশ সঙ্গে না থাকায় ওই নারীদের পক্ষে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।'

স্থানীয়রা জানান, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের সূত্র ধরে এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

গত এপ্রিলেও খারদিয়া এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এসে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেপ্তার হন।

পুলিশের ওপর চালানো হামলার মামলায় তারা মিয়াও একজন আসামি। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থক। এ ছাড়া তার নামে ২০১৯ সালে একটি ও ২০২০ সালে দুটি মামলা রয়েছে। এই চার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

মন্তব্য

Beta version