-->
শিরোনাম

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন জেলায় আজ ঈদ উদযাপন

কান্ট্রি ডেস্ক
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন জেলায় আজ ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবকে অনুসরণ করে সোমবার ঈদ উদযাপন করেছে দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার মানুষ। দেশের বিভিন্ন দরগাহ শরিফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছর রোজার ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এ নিয়ে বিতর্কও আছে। এক পক্ষ বলছে, চাঁদ একটি জায়গায় দেখা গেলেই চলে; আরেক পক্ষ বলছে, নিজ নিজ ভূখণ্ডে চাঁদ দেখতে হবে- এটাই ধর্মের বিধান।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ

ভোলা ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার সৌদি আরবে সঙ্গে মিল রেখে আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সকাল সাড়ে ৮টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খলিফা মজনু মিয়া নিজেই ওই জামাতের ইমামতি করেন।

এছাড়াও সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নুরিয়া উপজেলা দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া জানান, জেলার ৫ উপজেলার ১৪ গ্রামের শরিয়তপুরের সুরেশ্বর পীরের মুরিদ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের প্রায় ৩ হাজার পরিবারের এসব সদস্যরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।

ফরিদপুর

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করেন তারা।

বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩ টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ওই ১৩ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ একই সঙ্গে এক সময় ঈদ উদযাপন করলেও এখন আর তারা একদিন আগে ঈদ পালন করেন না।

শেরপুর

শেরপুরের ৯টি গ্রামে আজ পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। গ্রামগুলো হলো- শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয় আনি পাড়া, নকলা উপজেলার নারায়নখোলা ও চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামায়াতে শতাধিক করে মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। মুসুল্লী আব্দুল সাত্তার বলেন, অনেকদিন ধরে আমরা যারা এই এলাকায় বসবাস করি তারা সবাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করি।

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার শশীনাড়া গ্রামের ৫০ টি পরিবার আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। ২০১২ সাল থেকে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন তারা।সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া এই ঈদের জামাতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম দিকে মুসল্লীর সংখ্যা কম থাকলেও দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানালেন মসজিদের ইমাম।গাইবান্ধা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে । সোমবার সকাল ৯ টায় পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের মধ্যপাড়ার নতুন জামে মসজিদ চত্বরে এ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের লোকজন এ ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল মালেক।

এলাকার লোকজন জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ৭ বছর ধরে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন তারা। মাদারীপুর ৪০ গ্রামের লোকজনের ঈদ উদযাপন

মাদারীপুর

মাদারীপুর জেলার ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপন করেছেন মুসুল্লীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের চর কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

শরীয়তপুরের হযরত সুরেশ্বরী (রা:) এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের ৫০০ পরিবারের মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শরীয়তপুর সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইনের ভক্ত-অনুসারী চরকালিকাপুর গ্রামের জাকির মুন্সী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী (রা:) এর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান সোমবার ঈদ পালন করেন।

সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদানারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ও পঞ্জিকার তিথি দেখে একদিন আগে রোজা রাখেন এবং একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

কুড়িগ্রাম

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজে দুটি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার অংশগ্রহণ করে। সোমবার সকাল ৮টায় পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিট পাইকেরছড়া গ্রামের জামাল উদ্দিন হাজির বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মোকছেদুল ইসলাম।

অপর দিকে একই ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা গ্রামে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় এতে ইমামতি করেন মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, 'সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ পাইকেরছড়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামের মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নামাজ পড়াকে কেন্দ্রকে করে সেখানে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'

মন্তব্য

Beta version