আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সন্ত্রাস, হাতুড়ি বাহিনী, হেলমেট বাহিনী আবার নতুন করে ফরিদপুরবাসীর ওপর চেপে বসেছে। এদেরকে উৎখাত না করতে পারলে ফরিদপুরের মানুষের জীবন আগের চাইতে আরো দুর্বিষহ হবে।’
১২ মে অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে রোববার এক বিশাল মিছিল শেষে গণসমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিপুল ঘোষ একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আজকে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের সাধারণ মানুষের মধ্যে একটাই কথা- আগামীতে যদি ফরিদপুরে বাস করতে হয় তাহলে সন্ত্রাস থেকে মুক্তি চাই। তাই অনুরোধ জানাই আপনারা শান্ত হন।’
জেলা আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে বিপুল ঘোষ একজন সভাপতি প্রার্থী। এ উপলক্ষে শহরের গোয়ালচামটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে রোববার বিকেল চারটার দিকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিপুল ঘোষ আরো বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে ফরিদপুরের মানুষ অনেক কষ্ট-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন। ১২ তারিখের সম্মেলনে তিনি যাকে চাইবেন, তাকেই সভাপতি করবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রশ্ন হলো, জননেত্রী শেখ হাসিনাই যদি নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন তাহলে আপনাদের মহড়ার দরকার কী?’
তিনি বলেন, ‘আমরাতো মহড়া দেই না। কোনো জায়গায় আমার একটা পোস্টার নাই, একটা ব্যানার নাই। ৫৩ বছর রাজনীতি করি। একাত্তর মাস জেল খেটেছি। ১৭ বার জেলে গেছি আওয়ামী লীগের কারণে। একবারও আমার ব্যক্তিগত কারণে আমি জেলে যাই না।’
তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের দিন কেন্দ্রের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। যা কিছু বলার সেদিনই বলবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের নাম লিখে খামে ভরে আঠা দিয়ে আটকে দলের সেক্রেটারির কাছে দিবেন। তিনি নিজেই জানেন না এই খামের মধ্যে কার নাম লেখা আছে।’
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. মনিরুল হাসান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুজ্জামান মুরাদসহ প্রমুখ।
মন্তব্য