-->
শিরোনাম

প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করায় স্কুলছাত্রকে নির্যাতন

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করায় স্কুলছাত্রকে নির্যাতন

নীলফামারীর সদরের সওদাগর পাড়ার বাগান বাড়ি পার্কে বিনা টিকিটে প্রবেশের অপরাধে সিয়াম (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পার্কটির মালিক নবাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত রোববার বিকেলে পার্কের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে সোমবার দিবাগত রাতে নীলফামারী সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত নবাব উদ্দিন নীলফামারীর সদরের মুক্তা ফিলিং স্টেশনের মালিক ও ব্যবসায়ী।

ফারহান শাহরিয়ার সিয়াম জেলা শহরের এ আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে কালি বাড়ি মোড় এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে সিয়াম বন্ধুদের সঙ্গে কিছুদিন আগে উদ্বোধন হওয়া শহরের সওদাগর পাড়া এলাকার পার্ক বাগান বাড়িতে যায়। তবে টাকা না থাকায় ৬ বন্ধু ২০ টাকা করে টিকিট কেটে প্রবেশ করলেও পিছন দিক দিয়ে প্রাচীর পার হয়ে লুকিয়ে প্রবেশ করে সিয়াম।

বিষয়টি জানাজানি হলে সিয়ামকে ডেকে অভিযুক্ত নবাব উদ্দিন প্রথমে মারধর করে। পরে পার্কের ভিতরে একটি গরুর রাখার ঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর করার পর গোবর ও প্রসাব মিশ্রিত পানি জোর করে খাওয়ায়। পরে বিষয়টি বাইরে কারো কাছে বললে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারার হুমকি দেয়।

ভয়ে নির্যাতনের বিষয়টি কাউকে না বলে পরের দিন সিয়াম স্কুলে গেলে বন্ধুরা হাসাহাসি করলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহননের চেষ্টা করে সিয়াম। পরে অজ্ঞান হয়ে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং তাকে নীলফামারী সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিত স্কুলছাত্র সিয়াম বলে, আমার বন্ধুরা গেলেও আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি পিছন দিয়ে ভিতরে যাই। বিষয়টি জানার পর প্রথমে আমাকে চড় মারে নবাব উদ্দিন। পরে আমি মাফ চাইলেও উনি আমাকে টেনে গরুর ঘরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। আমি বার বার পা ধরে মাফ চাই কিন্তু উনি শুনেননি। নির্যাতনের কথা কাউকে বললে মারার হুমকি দেয়।

নীলফামারী সদর জেলারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে সিয়াম সুস্থ আছে। তবে যেহেতু মারধর করা হয়েছে এবং ঘুমের ওষুধ খেয়েছে তাই পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউপ জানায়, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে নবাব উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য

Beta version