-->

সিলেটের ছয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, চরম দুর্ভোগ

কামরুল ইসলাম মাহি, সিলেট ব্যুরো
সিলেটের ছয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, চরম দুর্ভোগ
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে পানি উঠে গেছে। ছবি: ভোরের আকাশ

ভারী বৃষ্টি ও ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের ছয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল। জেলার সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এরই মধ্যে সুরমা নদীর পানি দুটি পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়েছে।

এই ছয় উপজেলায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট এবং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। একই অবস্থা গোয়াইনঘাটসহ অন্যান্য উপজেলায়।

এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অপরদিকে বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পানিতে তলিয়ে গেছে নগরের বিভিন্ন সড়ক। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, ‘শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলসিদেতেও বিপদসীমার ওপরে বইছে। এ ছাড়া সারি ও গোয়াইন নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয়েছে উজান থেকে নেমে আসা ঢল। ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা ও আসাম প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ‘সিলেটের পানিবন্দি মানুষের জন্য ৭৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলায় এসব চাল বিতরণ করা হবে।’

তিনি জানান, এসব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে ১৮ মে পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলা বৃষ্টি বেশি হবে।’

মন্তব্য

Beta version