-->
শিরোনাম

২৭ বছরেও পূর্ণতা পায়নি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স

খুলনা প্রতিনিধি
২৭ বছরেও পূর্ণতা পায়নি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স

দীর্ঘ ২৭ বছরেও পূর্ণতা পায়নি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ^শুরবাড়ি ফুলতলার দক্ষিণডিহির ‘রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’। রবীন্দ্রনাথের কর্মময় জীবনের ওপর সংগ্রহশালা কাম লাইব্রেরি এবং অডিটোরিয়ামসহ রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্র ও রেস্ট হাউস নির্মাণের দাবি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কবির স্মৃতিবিজড়িত এই কমপ্লেক্সের উন্নয়ন কাজ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে খুলনা জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক কাজী রিয়াজুল হক দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি অবৈধ দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেন। স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি অবৈধ দখলমুক্ত হওয়ার পর সংরক্ষণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০০ সালের ৮ আগস্ট বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে।

পরে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর দক্ষিণডিহিতে পূর্ণাঙ্গ রবীন্দ্র কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪৯ লাখ টাকা চেয়ে চিঠি দেয়। মন্ত্রণালয় এ বাবদ ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই টাকা দিয়ে ২০১২ সালের মাঝামাঝি ভবন সংস্কার, একপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য কাজ শেষ করে।

তবে এর আগে দ্বিতলা ভবনের সামনে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া সেই পুরানো ছবেদা তলায় নির্মিত হয়েছিল মৃণালিনী মঞ্চ। কিন্তু বাড়িটি ঘিরে রবীন্দ্রনাথের কর্মময় জীবনের ওপর সংগ্রহশালা কাম লাইব্রেরি এবং অডিটোরিয়ামসহ রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্র ও রেস্ট হাউস নির্মাণের দাবি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো উপেক্ষিত রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা, পিকনিক স্পট নির্মাণ, রবীন্দ্র কমপ্লেক্সে প্রবেশের তিনটি রাস্তা প্রশস্তকরণ।

এ ছাড়া এখানে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে প্রস্তাবিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা ক্যাম্পাস বা স্বতন্ত্র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বেজেরডাঙ্গা রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে দক্ষিণডিহি রেলস্টেশন এবং খুলনা-বেনাপোলগামী ট্রেনকে মৃণালিনী এক্সপ্রেস নামকরণও বাস্তবায়ন হয়নি। তবে বর্তমানে দৃশ্যমান কাজের মধ্যে শুধুমাত্র সীমানা প্রাচীর, মূল ভবনের সংস্কার ও রঙের কাজ, নিচতলায় অপূর্ণাঙ্গ লাইব্রেরি, সংগ্রহশালা ও দর্শনার্থীদের অবসর যাপনের জন্য ছাউনি তৈরি ও টয়লেট নির্মিত হয়েছে। সম্প্রতি দৃষ্টিনন্দন পার্কের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

অবশ্য দক্ষিণডিহিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ^শুরবাড়ি ২০১৬ সালের ১০ মে ‘দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তবে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে দেশি ও বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য টিকিটের প্রচলন করা হয়। দেশি দর্শনার্থীদের ২০ টাকা এবং বিদেশিদের জন্য ৫০ টাকা টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

Beta version