বাগেরহাটের চিতলামরীতে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে কালিম শেখ (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. এসএম সাইফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কালিম শেখ চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ঠান্ডা শেখের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ মে বিকেলে ওই কিশোরীকে প্রতিবেশী কালিম শেখ তালশ্বাস খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। পরে তাকে বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার নাজির শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন কালিম। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিশোরীকে না পেয়ে পর দিন ভোরে ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কালিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরাম হোসেন একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত কালিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্য তিনজনকে খালাস দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আদালতের রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অপরাধীদের জন্য এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
মন্তব্য