-->
শিরোনাম

আমের কেজি ৩ টাকা!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আমের কেজি ৩ টাকা!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে আম। ছোট ও মাঝারি ধরনের অপরিপক্ক আম বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা কেজি দরে। আর এক মণের দাম ১১০-২০০ টাকা। মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সড়কের আশেপাশ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মকরমপুর ব্রিজ, কাঞ্চনতলা, বোয়ালিয়া বাজার, ঘাটনগর ও মিনিবাজার এলাকায় শত শত মণ আম কিনে জড়ো করেছেন ব্যবসায়ীরা। যা রাতে ট্রাকযোগে যাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় হয়। এ সময় ব্যাপক অপরিপক্ক আম ঝরে পড়ে।

উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বৈরতলা গ্ৰামের আজাদ আলী বলেন, ঝড়ে সাত বস্তা আম কুড়িয়েছিলাম। আড়াই থেকে তিন টাকা কেজি করে এসব আম বিক্রি করলাম। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০ টাকার আম বিক্রি করেছি। আর আচার করতে কিছু ফজলি আম বাড়িতে রেখেছি।

বোয়ালিয়া বাজার এলাকার জসিম উদ্দিন জানান, রাতের ঝড়ে ১০ মণ আম কুড়িয়েছিছেন তিনি। বাড়িতে বস্তা ভর্তি করে রেখেছিলেন তিনি। মকরমপুর ব্রিজের এখানে নিয়ে এসে ঝড়ে পড়া আম ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন তিনি।

মকরমপুর ব্রিজের আম ব্যবসায়ী আব্দুর সামাদ বলেন, ‘ভোর থেকেই প্রায় এক ট্রাক আম কিনেছি। এসব আমের দাম পড়েছে ৮০-১১০ টাকা মণ। ইতিমধ্যে একটি ট্রাকে ৩০০ বস্তা আম কিনে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। সন্ধ্যা হতে হতে আরও এক ট্রাক কিনবো। তবে আমের জাত হিসেবে দাম ভিন্ন আছে যেমন আশ্বিনা, লক্ষণভোগ ৩-৪ টাকা আর ফজলি আম ৫ টাকা কেজি কিনলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আম পাঠাই। আর সেখানে এক মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু ট্রাক ভাড়া অনেক বেশি।’

এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলাতেও কিছু কিছু স্থানে আম কিনতে দেখা গেছে। উপজেলার চককীর্তি এলাকায় আম কিনতে আসা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি সকাল থেকে ৫ টাকা কেজি দরে প্রায় ৫০ মণ আম কিনেছি। এগুলো চট্টগ্রামে পাঠাবো।

গোমস্তাপুর উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন,‘ সোমবার রাতে উপজেলা জুড়েই হালকা ঝড় হয়েছে। এতে আম ও লিচুর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’

মন্তব্য

Beta version